নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুরে র্যালী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বড়স্টেশন মোলহেডে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবসে দিবসে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্প পর্যটন উন্নয়নের প্রতি সকলের দৃষ্টি রাখতে হবে। যেখানে পর্যটন শিল্পের উন্নতি সেখানেই মানুষের শিক্ষা মান, জীবন যাত্রার মান উন্নতি, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক অর্থনীতি উন্নতি হয়। চাঁদপুর বড় স্টেশনের মোলহেড প্রতিনিয়ত পর্যটনের উপযোগী হয়ে উঠছে। মানুষ এখানে যেখানে ছুটে আসছে, তাতে করে চাঁদপুুরের শিল্প পর্যটন বিকাশে অনেক গুরুত্ব রাখবে। চাঁদপুর ত্রীনদীর মোহনায় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সর্বস্তরের পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার পর্যটনের জন্য অনেক কাজ করছে, বাংলাদেশের যেখানে যেখানে র্পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, সেখানেই সরকার বেশি নজর দিয়ে পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছে। সরকার পর্যটনের জন্য, পর্যটনের উন্নয়নের জন্য সব সময় কাজ করছে, পর্যটন স্থানে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসনিক ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা দিচ্ছে, চাঁদপুরের উন্নয়নে পর্যটনের জন্য সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। মহান স্বাধীনতার পর এদেশে পর্যটন শিল্পে বর্তমান সরকারের আমলেই উন্নয়ন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক হারে কাজ করছে। আগামীতে ও এ সরকার পর্যটন শিল্পের জন্য কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় তথ্য সমৃদ্ধ হয়েছে। তথ্যের ইতিবাচক ব্যবহারের পাশাপাশি অনেকে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নেতিবাচক তথ্য, গুজব, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ফলে সমাজে দেখা দিচ্ছে বিশৃঙ্খলা। তাই তথ্যের এই মহামারি রোধে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
তিনি আরও পুলিশ সুপার বলেন, জেলেদের একটি দলকে নৌকা এবং জাল সহ পর্যটকগণ ভাড়া নিতে পারেন। এতে করে মাছ ধরা এবং নদী ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব। এটিকে সুনির্দিষ্ট কাঠামোয় নিয়ে এসে প্রচারণা করলে চাঁদপুরে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। দ্বিতীয়ত, চাঁদপুরে নদীর বুকে জেগে উঠা চরগুলোতে বিনিয়োগ করে পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব। এটিও পর্যটনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। তৃতীয়ত, চাঁদপুর যেহেতু ইলিশের জন্য বিখ্যাত, তাই ইলিশের মৌসুমে চাঁদপুরে ‘ইলিশ মেলা’র আয়োজন করা যায়। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ চাঁদপুরে ইলিশ ক্রয়ে এবং ভ্রমণে আসবে। আমরা মনে করি, এই তিনটি বিষয় চাঁদপুরের পর্যটনশিল্পকে আরও বেশি লাভজনক ও গতিশীল করবে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং পর্যটনশিল্পে চাঁদপুরকে আরও বেশি জনপ্রিয় করতে সর্বদা পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বাশির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ও নাট্যকার এম আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছিল উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল,পুরান বাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযুদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক ডাঃ পীষূষ কান্তি রায় বড়ুয়া প্রমুখ।