নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষণায় অবৈধ) গোলাম হোসেনকে শোকজ করেছে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি। হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে সমর্থক বানানোর চেষ্টার অভিযোগে তাকে শোকজ করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিটি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ মাইনুল ইসলাম তাকে এই শোকজের চিঠি দেন।
শোকজে বলা হয়, আপনি মো. গোলাম হোসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন নং-২৬০ চাঁদপুর-১ (কচুয়া) এর একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। কচুয়া থানায় আপনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছেন মো. এয়াকুব আলী। তিনি এ মর্মে অভিযোগ এনেছেন যে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে আপনার দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ১% ভোটারের সমর্থন সূচক স্বাক্ষরের যে তালিকা জমা দিয়েছেন, সে তালিকায় তার অজ্ঞাতে তার নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করেছেন। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১২টা সময় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জোবায়ের, ৭নং ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সাহাদাত হোসেন, কচুয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের রুমি চান্দিয়াপাড়া গ্রামের ফখরুল আলম পলাশ, আমুজান দর্জিবাড়ির লিটন দর্জিসহ ৮/১০ জন লোক অভিযোগকারীর বাড়িতে এসে স্বাক্ষর করেছে মর্মে একখানা এফিডেভিটের কাগজ তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে এতে স্বাক্ষর করার নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি ওই কাগজে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করলে তারা তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখান। তিনি তাতেও রাজি না হলে তাকে পরবর্তীতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি-ধমকি প্রদান করে। আপনি এবং আপনার পক্ষের উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৫/৭৭ অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১৭ এর পরিপন্থি।
এই অভিযোগ নিয়ে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তা আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, মতলব, চাঁদপুর-এ সশরীরে অথবা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১অ(৫)(ধ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।