নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপির নব গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের নিচতলায় কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এ সভায় অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আহমেদ আজম খান। তিনি বলেন,সরকার নির্যাতন, হামলা ও মামলার মধ্য দিয়ে দেশে একটি মগের মুল্লুক শাসন তৈরি করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে ফিরে আসতে দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ৪১ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রায় আড়াই হাজার নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। রাস্তায় নামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করছে। দেশের মন্ত্রীরা সিন্ডিকেট করে সমস্ত বাজার ব্যবস্থায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ বাজারে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে কিন্তু তারা নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসে। কোনো জিনিসই কিনতে পারে না।
আহমেদ আযম খান বলেন, ২০১৪ সালে ভোট না করে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এরপর ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে পৃথিবীর ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করেছে। সরকার তার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আগামী নির্বাচনে যেন ভোট লুট করতে পারে, জনগণ যেন ভোট দিতে না পারে সেজন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, যা হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, সরকার ২০১৪ সাল থেকে জঙ্গিবিরোধী নাটক শুরু করেছে। জঙ্গিবিরোধী নাটকের মধ্য দিয়ে তারা বিদেশিদের বুঝাতে চেষ্টা করেছে, আমাদেরকে ক্ষমতায় রাখুন। আমাদেরকে সমর্থন দিন। এই সমস্ত কথা বলে তারা বিদেশিদের সমর্থন নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা বিশ্বকে বুঝাতে চেয়েছে তারাই একমাত্র জঙ্গি নির্মূল করতে পারে। তাই তারা জঙ্গি নাটক করে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। যখন সারা বিশ্ব বুঝে গেছে এটি সরকারের একটি নাটক, তখন সারা বিশ্ব সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিমেরর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা রাশেদা বেগম হীরা, সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ, আলহাজ্ব শফি উদ্দিন আহমেদ, এস এম কামাল উদ্দিন আহমেদ, মোশাররফ হোসেন, সদস্য এম এ হান্নান।
এছাড়া আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, জসিম উদ্দিন খান বাবুল, ডা. শামীম আহমেদ, আবদুস শুক্কুর পাটোয়ারী, শরীফ মোঃ ইউনুস, দেওয়ান সফিকুজ্জামান, এড. এ টি এম মোস্তফা কামাল, মোঃ খলিলুর রহমান গাজী, এড. মোঃ মিজানুর রহমান, হুমায়ুন কবির প্রধান, ফেরদৌস আলম বাবু, ডাঃ আলমগীর কবির পাটোয়ারী, ডি এম শাহাজাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি, এড. হারুন উর রশিদ, এড. জহির উদ্দিন বাবর, এড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, মোঃ আফজাল হোসেন, এড. মুনিরা বেগম চৌধুরী, শাহজালাল মিশন, দফতর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, প্রচার সম্পাদক শরিফ উদ্দিন পলাশ, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কাজী মো. ইব্রাহীম জুয়েল, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. কোহিনুর রশিদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক বশির আহম্মেদ রিপন খান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত উল্যা খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর জাকির হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জসীম উদ্দিন পাটোয়ারী, শিশু বিষয়ক সম্পাদক এড. শিরীন সুলতানা মুক্তা, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির হুমা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমীন খান আকাশ, মানিকুর রহমান মানিক, ফয়সাল আহমেদ বাহার, সহ-দফতর সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম জগলু, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এড. শিরিন আক্তার সুপ্তা,সদস্য মাহবুবুর রহমান শাহীন, নজরুল ইসলাম নজু, জোহরা আনোয়ার হীরা, নাহিদা আক্তার সেতু, শাহীনা আক্তার সানু, নাছরিন আক্তার, শাহাজাহান কবির খোকা।
এছাড়া সভায় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দও তাদের বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, সম্মেলনের এক বছর পরে চাঁদপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।গত (২০ জুন) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত পত্রে এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে সভাপতি ও এডভোকেট সলিম উল্যা সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ সদস্য উপদেষ্টা ও ১৫২ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।