ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ওপর হামলার অভিযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ 

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
ফরিদগঞ্জে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের প্রথম দিনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক ঈগল মার্কার শ্লোগান দেয়ার অপরাধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্লা তপদারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। একই সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
ফরিদগঞ্জ বাজারে (১৮ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত ৮টার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বাজারে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফরিদগঞ্জ বাজারে পুলিশ টহল জোরদার করে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা।
অভিযোগে প্রকাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার পক্ষে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর নেতাকর্মীরা ফরিদগঞ্জ বাজারে নির্বাচনী প্রচারণামূলক গণমিছিল করেন। মিছিল শেষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্লা তপদার ফরিদগঞ্জ সিনেমা হল মার্কেট অতিক্রমকালে একদল যুবক তার ওপর হামলা চালায়।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, একই সময় ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্লা তপদার বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যতবার জাতীয় সংসদের নির্বাচন পেয়েছি, ততবারই নৌকার পক্ষে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিয়ে মাঠে কাজ করেছি। গত নির্বাচনেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন উপহার দিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠে থাকার জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তাই পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনের মাঠে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি। মধ্য বাজারে সিনেমা হল মার্কেটের সামনে এলে প্রায় ২০ জনের একদল যুবক জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায় এবং আমাকে শারীরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ফরিদগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, বাজারে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা চাই বাজার ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করবে; সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আমাদের সেই সুযোগ তৈরি করে দিবে।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ওপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা একেবারেই দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে অভিযুক্ত মাসুদ আলম আয়াত বলেন, সহিদ কাকাকে কেউ হামলা করেনি। ‘আওয়ামী লীগের মার্কা ঈগল’ বলায় কয়েকজন কর্মীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। আমি দায়িত্ব নিয়ে ওনাকে সেখান থেকে সরিয়ে দিই।
থানায় লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে থানার ডিউটিরত কর্মকর্তা এএসআই মহিউদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Loading

শেয়ার করুন: