মহামায়া ঘুরে গেলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর

নিজস্ব প্রতিনিধি:
 দুইদিনের সফরে চাঁদপুর ঘুরে গেলেন জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। তিনি গত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মগবাজার বাসা থেকে সড়ক পথে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে যাত্রা পথে রাত ৯টার দিকে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার স্টার হোটেলে নাস্তা করতে নামেন।
এসময় উপস্থিত ভক্তরা আসিফ আকবরের উপস্থিতি টের পেয়ে স্টার হোটেলের সামনে ভিড় জমান। সেলফিতে আবদ্ধ হন শতাধিক ভক্তরা। কোন বিরক্তি বোধ না হয়ে ভক্তদের ছবি তোলার সঙ্গী হয়ে পড়েন জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী। পরবর্তীতে তিনি জেলার হাজীগঞ্জের বলাখাল রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে সময় কাটিয়ে হোটেলে রাত্রি যাপন করেন।
পরদিন শুক্রবার (১৬ জুন) বাদ জুমা চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া বাজার সংলগ্ন ৮নং ওয়ার্ড টাহরখিল পাটওয়ারী বাড়ির কৃতি সন্তান ভার্সাটাইলো গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. কামরুল আহসানের বাবা মরহুম জাফরউল্লাহ পাটোয়ারীর কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। চাঁদপুরে আগমন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন আসিফিয়ানদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় আসিফ আকবরের আগমনের সংবাদটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ভক্তরা ভিড় জমান এবং ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। আর আসিফ আকবরের উপরোক্ত সকল তথ্যাদি নিশ্চিত করেছেন আসিফ আকবর ফ্যান্স ক্লাব-কুমিল্লা’র প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মাসুদ হোসেন।
জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ও আইডিতে বলাখাল এলাকার সৃতি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- “সেই ৮১ সালে আব্বা আম্মাকে না বলে এক শান্ত ভোরে বেরিয়ে পরেছিলাম বাসা থেকে। গুলবাগিচা স্কুলের বন্ধু আবু সুফিয়ান রুবেলের সাথে বন্ধুত্ব জমে উঠেছে। সুফিয়ান একদিন বললো- চল আমার গ্রামের বাড়ীতে, বলাখাল। সময়টা ছিল এমনই মধুমাসের, এগারোদিন কাটিয়ে দিলাম তাঁর পরিবারের সাথে। সেই ডাকাতিয়া নদী পার হয়ে সুফিয়ানের গ্রাম। বাসার কেউ দূশ্চিন্তা করেনি, নিখোঁজ বালকের সন্ধানে হয়নি কোন মাইকিং। জানতো ছেলে ফিরে আসবে আবার, দূরন্তপনার জাস্ট একটা স্যাম্পল রেখে দিলাম আর কি!
একচল্লিশ বছর পর আবার এলাম চাঁদপুরের বলাখালে। রেলষ্টশনের লম্বা প্লাটফর্মে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম শেষ মাথায়, চঞ্চল বাতাসের উদ্দামতায় মনের ভিতর জেগে উঠেছিল নষ্টালজিয়া, মাঝখানে চলে গেছে একচল্লিশটা বছর। প্লাটফর্মের শেষ মাথায় বাংলা এবং ঊর্দুতে লেখা আছে- বলাখাল।
হোটেলে ফিরে বেগমকে ছবি পাঠাতেই তিনি বললেন বলাখাল তার নানার বাড়ী। বিয়ের একত্রিশ বছর পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে একটু হতচকিত হয়ে গেলাম। বেগম ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন সময়ে তার মা ইন্তেকাল করেছেন। কখনো কখনো বেগমের আচরনে মনে হয় সে আমার মধ্যেই হয়তো তাঁর মাকে খুঁজে পায়।
বলাখাল ইস্যূতে বেগমের আজ নিশ্চয়ই প্রয়াত মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে ! আমি উনাকে দেখিনি, তবুও এখন মনে হচ্ছে তিনি আমাকে দেখেছেন, তাঁর আদরের ছোট মেয়ের জামাইকে বরন করে নিয়েছেন ছন্দহীন বাতাসের অস্থির চঞ্চলতায়! মায়ের গল্প শোনানোর সময় বেগম খুব উচ্ছসিত থাকেন। শ্বশুরবাড়ীর জামাই আদর সংক্রান্ত কোন দূর্ঘটনা আমার সাথে ঘটেনি, তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো গল্পটা হতো অন্যরকম! তবুও এখন কল্পনায় শ্বাশুড়ীর ঘোলা অবয়ব যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার মানসপটে।
আহা জীবন ! তুমি কিভাবে কখন কাকে কি দীক্ষা দাও সেটা সময় না গড়ালে আসলেই বোঝা মুশকিল! সাদাকালো এই ছবিটা সেই সময়কার, মাঝখানের একচল্লিশ বছরে জমে গেছে অনেক আনন্দ বেদনার গ

Loading

শেয়ার করুন: