হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কটির বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

চাঁদপুর সড়ক বিভাগের অন্যতম ব্যস্তোময় সড়ক হচ্ছে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটি। যেখানে দৈনিক ছোট বড় শত শত গাড়ির চলাচল করে আসছে। প্রায় ৫ বছর পূর্বে চাঁদপুর সীমানা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দৃশ্যমান কাজ হলেও বছর না যেতেই ছোট ছোট গর্তে পরিনত হয়েছে এ সড়কটি। তার পর থেকে প্রতিবছর সড়ক ও জনপদ বিভাগের ট্রাকে এসব গর্ত পূরণ করে চলে যায়। এভাবে কয়েক মাস পর পর এসব গর্ত মাঝে মধ্যে ভরাট করে সড়ক বিভাগ। যে কারণে সড়কের চলাচলরত যাত্রী সাধারণ ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বর্ষার চলমান সময়ে অতিবৃষ্টির ফলে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে শুরু করে জিয়ানগর, বেলচোঁ বাজার, মনতলা বাজার ও ফকির বাজারের স্থানে বড় বড় গর্তে কাঁদায় পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে এসব স্থানে বাস ট্রাক সিএনজি অটোরিকশা গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। যাত্রীরা ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে গিয়ে আধঘন্টার উপরে সময় গাড়ীতে নড়েচড়ে বসে থাকতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের পড়তে হচ্ছে।

সিএনজির যাত্রী মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমজাদ মাস্টার বলেন, সড়কটির অবস্থা এমন ক্ষত-ভিক্ষত পরিনত হয়েছে যে নিদিষ্ট সময়ে হাজীগঞ্জ থেকে রওনা দিলে অতিরিক্ত তিনগুণ সময় বেশি লাগে। আমরা যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগে আছি। আশাকরি সড়ক ও জনপদ বিভাগ অচিরেই পদক্ষেপ নেওয়ার জোরদাবি জানাই।

বেলচোঁ বাজারের ব্যবসায়ি মোহন চৌধুরী বলেন, দৈনিক চোখের সামনে অনেক দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখতে পাই। চলন্ত গাড়ী থেকে যাত্রীরা গর্তে পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনেহয় ঘুমিয়ে পড়েছে, তা না হলে বছরের পর বছর ধরে এমন চলমান দুর্ভোগ লাগবে ব্যবস্থা নিতো।
সিএনজি চালক শফিকুল ইসলাম গাদ্দাফি বলেন, সরকারের চলমান উন্নয়ন সমন্বয় করতে হলে নির্বাচনের আগে সড়কটির কাজ চাই। তা না হলে আমারা নির্বাচনের আগে আর দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাবো না। তাই আমি সকল ড্রাইভারদের পক্ষ থেকে সড়ক বিভাগের লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

চাঁদপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চলে এ সড়কটি মেরামতের প্রস্তাবনা পাটিয়েছি। তাছাড়া সড়ক মেরামতে একাধিকবার ক্ষুদ্র মেন্টেনেন্স এর কাজ হয়েছে। প্রাথমিভাবে চলাচলের জন্য গর্তগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading

শেয়ার করুন: