নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধে ১ম দিনের অবস্থা ছিল স্বাবাবিক। অবরোধকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের চোখে না পড়লেও রাজপথ দখল করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ভোর থেকে শুরু হওয়া অবরোধে চাঁদপুরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কড়া নজরদারি।
যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে সড়কে যানবাহন তুলনামূলক কম। চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। সকাল থেকে চাঁদপুর শহরের কোথাও মিছিল বা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। শহরে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
চাঁদপুরে পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সারাদেশে আন্তঃপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেও অধিকাংশ পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে দূরপাল্লার যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
চাঁদপুর শহরের বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ঘণ্টারপর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। জেলা ও আন্তঃজেলার সব পরিবহন বন্ধ ছিল ।ফলে ঢাকাগামী যাত্রীদের নৌপথে লঞ্চ যোগে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। আর কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর,নোয়াখালীগামী যাত্রীদের ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সাফায়েত নামে এক যাত্রী বলেন, দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করছি কুমিল্লা যাওয়ার জন্য। কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। এখন বিকল্প চিন্তা করতে হবে।
চাঁদপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান,গতকাল বিএনপির সমাবেশে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় আমাদের ড্রাইভাররা আতঙ্কে আছেন। যার কারণে তারা অনেকই দূরপাল্লার গাড়ী ছাড়েনি।
অন্যদিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ চলাচল স্বাবাবিক রয়েছে। যাত্রীরা নিবিঘ্নে যাতায়ত করছে।
লঞ্চঘাট আসা যাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আমি ফরিদগঞ্জের জানতা বাজার থেকে এসেছি ঢাকায় যাব। আসার সময় দেখেছি হরতালে অংশগ্রহণ কারীরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে করেছে। তবে তারা পুলিশের জন্য জামেলা করতে পারছে না। আরেক যাত্রী মুক্তা আক্তার জানান, বাস বন্ধ থাকায় আমি লঞ্চে ঢাকায় যাচ্ছি।
লঞ্চঘাটে থাকা লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি শাহ আলম চোকদার জানান,হরতালে আমরা লঞ্চ চালু রেখেছি। চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী সিডিউল অনুযায়ী ভোর থেকেই লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রী সংখ্যা কম। হরতালকে কেন্দ্র করে ঘাটে এখনো কোন জামেলা হয়নি।
চাঁদপুর নৌ যান শ্রমিক লীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান, সারাদেশে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল চালু রয়েছে। তবে অন্য দিনের তুলানায় যাত্রী কম।
এ বিষয়ে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, জনসাধারণের জানমাল যেন বিঘ্নিত না হয় যে জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, আমরা মাঠে আছি। সাধারণ মানুষ অবরোধ কারিদের সাথে নেই। কেউ যেন নৈরাজ সৃষ্টি করেতে না পারে সেই লক্ষে প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছে।