নিজস্ব প্রতিবেদক :
পাঠকপ্রিয় দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের এক যুগ পদার্পণ উপলক্ষে আজ ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার পত্রিকার লেখক সুহৃদ সম্মাননা, কোভিড-১৯ এ বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননাসহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চাঁদপুরের উন্নয়নের রূপকার চাঁদপুরবাসীর প্রিয় নেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চার চারবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের বিশিষ্টজনরা। আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাবেন চাঁদপুর প্রতিদিনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন চাঁদপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গানের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস ও হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিন কুমকুমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন চাঁদপুর প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুহম্মদ ইব্রাহিম রনি। পরে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকসহ সংবাদকর্মীরা। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজনরা। পরবর্তীতে চাঁদপুর প্রতিদিনের সাংবাদিকদের শুভেচ্ছাস্বরূপ স্মারক প্রদান করা হবে। পরে পত্রিকার লেখক সুহৃদ হিসেবে এবং করোনাকালে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হবে।
করোনা সংক্রমণরোধে বিশেষ অবদানে সম্মাননা দেয়া হবে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক জে. আর. ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরপৌর মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ, চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন।
লেখক সুহৃদ হিসেবে যাঁদের সম্মাননা দেয়া হবে তারা হলেন :
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ও মতলবের কৃতী সন্তান জেসমিন সুলতানা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের জনপ্রিয় প্রকল্প “গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক চাঁদপুর সদর উপজেলার কৃতী সন্তান ওমর ফারুক দেওয়ান, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান দৈনিক বাণিজ্য প্রতিদিনের সম্পাদক সাংবাদিক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, উদয়ন শিশু বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সাইদা আক্তার, শিল্পচুড়া সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সেলিম, লেখক ও শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ নাদিম ভুইয়া, প্রকৌশলী আলী হায়দার।
সবশেষ অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।
উল্লেখ্য, অসংখ্য পাঠক আর শুভানুধ্যায়ীদের মন জয় করে গত ১৩ নভেম্বর চাঁদপুর প্রতিদিন ১১ বছর পূর্ণ করে এক যুগে পা রাখে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর কলেবরে প্রকাশ হয় চাঁদপুর প্রতিদিন। নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশনার ১১ বছরে পাঠক সমাজের উৎসাহ আর প্রেরণা ছিল মূখ্য। গত এগারটি বছরে চাঁদপুর প্রতিদিনকে চাঁদপুরবাসী গ্রহণ করেছে পরম মমতায় আর ভালবাসায়। আধুনিক সংবাদপত্রের ভূমিকায় পত্রিকা ছিল অটল। এর লিখনীর বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতায় সামান্যতম কালো আঁচড় লাগেনি।
রাষ্ট্রীয়, স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নানাবিধ সমস্যাগুলো তুলে ধরেছে চাঁদপুর প্রতিদিন। কোন গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি স্বার্থের বলয়ে থেকে সংবাদ প্রকাশ করেনি পত্রিকাটি। আগামী দিনেও এই অঙ্গীকারে অবিচল পত্রিকা পরিবার। চাঁদপুরের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা চিহিৃত করে পাঠকের প্রত্যাশা মিটিয়েছে পত্রিকা। প্রকাশিত সংবাদের কারণে অসংখ্য সমস্যাদির সমাধানও হয়েছে। চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় কর্মরত চাঁদপুর প্রতিদিনের কলম সৈনিক নিজস্ব প্রতিবেদকরা এবং প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত সংবাদকর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে এগিয়ে নিচ্ছে চাঁদপুর প্রতিদিনকে।
শুরু থেকে আজ অবধি পত্রিকার প্রকাশনায় কোন ত্র“টি হতে দেয়া হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন, সুধী সমাজ সর্বদাই পত্রিকার সাফল্য কামনা করেছেন, নিউজ সরবরাহে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। পত্রিকাটির কোন প্রকাশিত নিউজ নিয়ে অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি বরং হয়েছে আলোচনা এবং প্রকাশিত কোন কোন সংবাদ নিয়ে হয়েছে গঠনমূলক সমালোচনা। পত্রিকা তার আদর্শ নিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যেতে চায় দূর বহুদূর।