ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ॥ পরিবারের দাবি হত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ঢালীর (৫৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বেলতী গ্রামে ওই নেতার বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

নজরুল ইসলাম ঢালী ওই ইউনিয়নের বেলতী গ্রামের ঢালী বাড়ীর মৃত রুস্তম আলী ঢালীর ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর খাদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পূর্বে তিনি ঠিকাদারির ব্যবসা করতেন।

দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ বিভাগ) রাশেদুল হক চৌধুরী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চাঁদপুরের একটি দল।

পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন নজরুল ইসলাম। এরপর আর ফেরেননি। বাড়িতে না আসায় রাত ১২টার সময় স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছেলে জামিউল ইসলাম তার মুঠোফোন নম্বরে অনেকবার ফোন দিলেও ফোন ধরেননি তিনি। খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তার সন্ধান পাননি স্বজনেরা।

মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়ির রডের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

নিহত নজরুল ইসলাম ঢালীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছেলে জামিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে নজরুল ইসলাম ঢালীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। যে চিকন রশি দিয়ে লাশটির গলা ঝুলানো, তা দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব নয়। এছাড়াও লাশের পা মাটিতে লাগানো ছিল।

পিবিআই চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বলেন, ওই ব্যাক্তির পায়ের উপরের অংশে ছেঁছড়ানো দাগ রয়েছে। আর কোন অংশে আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে ছায়া তদন্ত কাজ চলছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আইনি কার্যক্রম শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। পিবিআইসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

Loading

শেয়ার করুন: