নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দীক্ষায় একেকজন মানবিক সোনার মানুষ হবে। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ হয় না। আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, বদলে যাওয়া আজকের সেই বাংলাদেশকে অসম্ভব রকম মায়ের মমতা দিয়ে বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা, দূরদর্শিতা, সাহসিকতা, দৃঢ় মনোবল দিয়ে যিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি কেবল আওয়ামী লীগের সভাপতিই নন, বিশ্বনেতাও। উন্নয়নের যে পথ তিনি দেখাচ্ছেন। উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসতে বাতিঘর শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩০ জুন) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাঁদপুর জেলা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগপূর্তি মিলনমেলা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনা আজ শুধু দেশের মানুষকে পথের দিশা দিচ্ছেন শুধু তাই নয়, বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পথের দিশা হয়েছেন। তেমনি আজ মানুষ যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছে, যেখানে মানুষের জীবনযাত্রা বিপদগ্রস্ত, দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত, নারী, শিশু তার অধিকার থেকে বঞ্চিত, সেখানকার মানুষের জন্য আশার বাণী হয়েছেন। তিনি অধিকার বঞ্চিত মানুষগুলোর অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরের সন্তানরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অবদান রেখে চলেছে, তাদের অনেক কিছু করার আছে। আমার চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ভাঙন প্রবণ এলাকায় ভাঙনরোধ করা সম্ভব হয়েছে। স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। জুলাই মাসে আধুনিক চাঁদপুর নৌবন্দরের কাজও শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার কাজের যে বিশালতা, গভীরতা, বিশ্বময়, সুদূর প্রসারী প্রভাব, ইতিহাসের ওপর যে প্রভাব সব কিছু মিলিয়ে আজ শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশ একাকার হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিন্ন হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন, যেকোনো রকমের বিপর্যয় মোকাবিলা করা, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করা, খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা– এ সমস্ত কাজের কারণেই আজ শেখ হাসিনা অপর নাম হয়ে উঠেছে। যার কারণেই তিনি আজ সারাবিশ্বের নেতা।
পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে দীপু মনি বলেন, সামনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন আসছে। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের এই দেশটি যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, সেই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখি। আমরা সবাই মিলে নৌকাকে আবারও জয়যুক্ত করব। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী, শান্তিময় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাই মিলে যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাওয়ার সেলের মহাসচিব ও আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছরিন আক্তার, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাঁদপুর জেলা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।