গণপিটুনিতে মারা গেছেন প্রযোজক সেলিম ও চিত্রনায়ক শান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

গণপিটুনিতে মারা গেছেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার-প্রযোজক সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান।

জানা যায়, সোমবার (৫ আগস্ট) চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় গণপিটুনিতে থানার সেকেন্ড অফিসার মামুন এবং চাঁদপুর সদরে বহুল আলোচিত বালু সেলিম খ্যাত (সেলিম খান) ও তার ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খান মারা গেছেন।

ছিঁচকে চোর থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক (বালু সেলিম) সেলিম খান ও তার সন্তান সন্ধ্যার সময় তাদের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী এলাকায় তারা গণপিটুনির শিকার হন। বিক্ষুদ্ধরা তাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলে যাওয়ার পর চাঁদপুরের রাস্তা নেমে আসে লাখো জনতা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শহর গ্রাম অঞ্চলের রাস্তাঘাট। নারী-পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবাই বিজয়ের চিহ্ন দেখায়।

অনেকেই বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে উল্লাস কারীদের হাত নেড়ে একাত্মক পোষণ করছেন।

বিকাল পাঁচটায় সেনাবাহিনীর একটি বহর শহরে প্রবেশ করে। শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে আসলে হাজার হাজার জনতা জাতীয় পতাকা নিয়ে তাদেরকে স্বাগত জানায়। এ সময়ে গাড়িবহরে থাকা অফিসার ও সৈনিকরা আমজনতার সাথে করমর্দন করতে করতে এগিয়ে যান।

চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ।

প্রাণহানি ও আন্দোলন সংগ্রামের পর বিজয় অর্জিত হওয়ায় তারা সাধারণ জনতাকে ধন্যবাদ জানান। ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র হামলায় আহত শিক্ষার্থীরাও হাতে-পায়ে, মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ অশ্রুতে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছেন তাদের শিক্ষক ও অভিভাবক।

শিক্ষার্থীরা জানান, এ বিজয় এদেশের আপামর জনতার বিজয়। ৬৯, ৫২, ৭১ ও ৯০ মতোই ২৪এর রক্ত বৃথা যায়নি। ছাত্র আন্দোলনের মুখে কোন স্বৈরাচারী যে টিকতে পারেনি এবারও বাংলাদেশ তা দেখলো।

নিহতদের স্মরণে তারা শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। একই সাথে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।

বিক্ষুব্ধ জনতা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনির চাঁদপুরের বাসায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন। শহরের নতুন বাজার এলাকায় পৌর মার্কেটে দ্বিতীয় তলায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে তিনি চাঁদপুরে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

গত দেড় দশক তার স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কোনঠাসা হয়ে পড়েন। সশস্ত্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নিয়ে তিনি জেলাবাসীকে শাসন করতেন।

Loading

শেয়ার করুন: