কেএম নজরুল ইসলাম ॥
ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নবগঠিত এডহক কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা মাহবুব মোরশেদ কচিকে লাঞ্ছনা ও অপহরণের অভিযোগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশকে কেন্দ্র করে এম এ হান্নান গ্রুপের অনুসারীদের হাতে সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদের অনুসারী ও গল্লাক আদর্শ কলেজের সভাপতি মাহবুব মোরশেদ কচি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য এরশাদ মাহমুদ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও হেনস্থার শিকার হন। তাদেরকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাদেরকে অবরুদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদের ভেতরে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়। সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) আমার বাসায় দুটি সভা হওয়ার পর রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানের অনুসারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের পক্ষের লোকজন মতবিনিময় সভাকে বাধা দিতে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়। পরবর্তীতে ইউএনও ও ওসির নিদের্শে মতবিনিময় সভা স্থগিত করে তাদের অনুরোধে দুপুরে উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনে এলে এম এ হান্নানের অনুসারীরা আমার ও গভর্নিংবডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য এরশাদ মাহমুদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে আমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে ইউএনও অফিসে নিয়ে যায়। ইউএনও’র অফিসে আমাকে আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু আমি রাজী না হয়ে সভা ত্যাগ করে চলে এসেছি। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলেও বিএনপি নামধারী একটি গ্রুপের মাধ্যমে প্রকৃত বিএনপির নেতাকর্মীরা বারবার নাজেহাল ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। তারা কলেজ অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগের দোসর হরিপদ দাস ও সাবেক বিদ্যোৎসাহী সদস্য উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাজে আহমেদ মজুমদারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য এরশাদ মাহমুদ, গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজান পাটওয়ারী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নাসির পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন কোম্পানী, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, পৌর যুবদল নেতা টুটুল পাটওয়ারী, পেয়ার আহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, শাওন পাঠান, মো. আলম প্রমুখ।