আলমগীর তালুকদার,কচুয়া ॥
গৈৗরিপুর-কচুয়া-হাজীগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত যাত্রীদের চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে।
সড়কও জনপথ বিভাগের অধীনে ৪২ কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে কচুয়া, হাজীগঞ্জ, মতলব, চাঁদপর, রামগঞ্জ, লক্ষীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজন ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্রগাম যাতায়াত করে থাকে। সড়কটির চাঁদপুর অঞ্চলের কচুয়া উপজেলার বারৈয়ারা হতে বাছাইয়া পর্যন্ত ১৪কি.মি কিলোমিটার সড়ক অংশে রাস্তার উপরের আস্তর উঠে যান ও জনচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটির স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভারী যানবাহন আটকে পড়ছে। ফলে সড়কটির বেশির ভাগ অংশে বর্তমানে বালি আর মাটি বিরাজমান। ধুলা বালি- মাটি বাতাসের সাথে মিশে বায়ু দূষণের সৃষ্টি করছে। মূমূর্ষ রোগী বহনকারী এম্বুলেন্স চলাচলে ও ব্যাঘাত ঘটছে। প্রতিদিন বাস, ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
সড়কটির সাচার বাজারের উত্তর পাশে দুই দিকে পুকুর থাকায় পাশ ভেঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়িত দূর্ঘটনাসহ যানঝট সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া এ আঞ্চলিক সড়কের সাজিরপাড়, দোয়াটি, উত্তর পালাখাল এলাকার রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে। এই অংশ ভাঙ্গা থাকার কারনে বাসসহ অ্যান্যান্য পরিবিহন চলাচলের অনুপযোগী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে গর্তগুলি ভরাট করলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা আবার ভেঙ্গে যাচ্ছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলাকারী যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এমতাবস্থায় সড়কের দু’ধারে পাকা দেয়াল নির্মাণসহ সড়কটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে, এ সড়কের ঝুঁকি এড়াতে ১২টি বাঁক সরলীকরন, ৪টি কালভার্ট ও ১টি ব্রীজসহ সড়ক নির্মানের জন্য ইতোপূর্বে ২৫ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সড়ক পাকা করণের দু’বছর না যেতেই এমন বেহাল অবস্থা। সড়ক নিয়মিত যাতায়াতকারী গাড়ী চালকগণ জানায়, নি¤œমানের কাজ হওয়ায় সড়কের পলেস্তরা উঠে গিয়ে স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌছতে পারছেনা গাড়ি গুলো।
গৌরিপুর-কচুয়া-হাজীগঞ্জ রাস্তা মেরামতের কাজের বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী সামসুজজোহা মুঠোফেনে জানান, ভাংগা অংশের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অচরেই যাত্রীদের সমস্যা লাগব হবে। স্থানীয়রা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তার মেরামত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।