চাঁদপুরের গুরুত্বপূর্ণ এসবি খাল করা হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবশেষে চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এসবি খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে প্রতি জেলায় একটি খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এসবি খালটি বাছাই করা হয়।

আজ শনিবার সকালে খালটির শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকা অংশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। তাতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, নবজাগরণ গোল্ডেন ফাউন্ডেশন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।

পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ গোল্ডেন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের এই সংগঠন। তাদের কাজের একটি অংশই হচ্ছে শহর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে সহায়তা করা। এই কাজে তাদের সংগঠনের ৪৫ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেছে।

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘খালটির সংযোগ এক অংশ ছিল মেঘনা নদীর সঙ্গে, আরেক অংশ ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গে। মেঘনা নদীর অংশ ভরাট হয়ে গেছে। ডাকাতিয়া নদীর অংশ আমরা কাজ শুরু করেছি। কাজে এসে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেব। আমাদের কাজের সার্বিক নির্দেশনা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।’

চাঁদপুরের গুরুত্বপূর্ণ এসবি খাল করা হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিডি ক্লিন চাঁদপুরের সদস্য মিথিলা বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল হচ্ছে এসবি খাল। শহরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ রাখার জন্য আমাদের সদস্যরা এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজে অংশগ্রহণ করেছে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘এটি আমাদের জাতীয় যুব দিবসের একটি কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির আলোকে সারা দেশে একটি করে খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা চাঁদপুর শহরের এসবি খালটি বাছাই করেছি। ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীর সংযোগ পর্যন্ত পরিষ্কার করা হবে। ভবিষ্যতে এই খালের অবৈধ দখলও উদ্ধার করা হবে।’

ডিসি আরও বলেন, ‘আমরা এই কাজে পৌরবাসীর সহযোগিতা চাচ্ছি এবং পাশাপাশি তাদের সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ছাত্র ও যুবসমাজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। কিন্তু এটিকে ধরে রাখার কাজ হচ্ছে পৌরবাসীর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ ১৫ দিন চলমান থাকবে। এরপর এই কাজটির তত্ত্বাবধান করবে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।’

Loading

শেয়ার করুন: