মেঘনাবার্তা ডেস্ক:
চাঁদপুরে করোনার উপসর্গে আরো ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক গার্মেন্টসকর্মী, এক ব্যবসায়ী এবং এক পল্লী চিকিৎসক রয়েছেন।
চাঁদপুর শহরতলির বাবুরহাট বাজারের প্রসিদ্ধ পল্লী চিকিৎসক আশুতোষ আচার্যী সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগেও ভুগছিলেন। গত কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট আসে করোনা নেগেটিভ।
মৃত্যুর সময়ও তার উপসর্গ ছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, পূর্বে নমুনা পরীক্ষা করায় তার আর নমুনা সংগ্রহ করা হবে না।
এদিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের মনি বেগম (৩৫) রোববার দিবাগত রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান।
এরপর রাত ২টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। দাফনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন থানার ওসিসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার।
মনি বেগম নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। দুইদিন আগে তিনি এলাকায় আসেন। মৃত্যুর পর তার ও পরিবারের অন্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের পাচন গ্রামের (নায়েরগাঁও বাজার সংলগ্ন) ব্যবসায়ী পরিমল বিশ্বাস (৬৫) সোমবার সকাল ৭টার দিকে চাঁদপুর সদর সদর বাবুরহাট এলাকায় তার ভায়রার বাড়িতে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যান।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজেদা বেগম পলিন জানান, করোনার উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাহ করা হবে।
প্রয়াতের ভাগ্নে পলাশ কুমার দে জানান, ঢাকার কালিগঞ্জে মিষ্টির দোকান ছিল পরিমল বিশ্বাসের। প্রায় ৬ মাস ধরে তিনি এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে মেয়ের সন্তান প্রসব উপলক্ষে সম্প্রতি তিনি মেয়ের সাথে প্রাইভেট হাসপাতালে আসা-যাওয়া করেন। এরপর জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। পলাশ দের অসুস্থতার খবর শুনে তাদের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।