মেঘনা বার্তা ডেস্ক ॥
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার দুইটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে উদ্বোধন হবে। এর পূর্বে কচুয়া উপজেলার মডেল মসজিদটি উদ্বোধন হয়েছে।
জেলার ৮ উপজেলায় ৮টি এবং জেলা পর্যায়ে একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ হবে। এসব তথ্য জানিয়েছে চাঁদপুর গনপূর্ত অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইমাম হোসেন।
চলতি জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে দ্বিতীয় দাপে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইমাম হোসেন জানান, ইতোমধ্যে মতলব দক্ষিণ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষে হয়েছে। জেলা পর্যায়ে নির্মাণ হবে ৪ তলা মডেল মসজিদ। এটির জন্য এখনও জমি নির্ধারণ হয়নি। সদর উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি মসজিদ নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।
তিনি আরো জানান, জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে শাহরাস্তি উপজেলার মসজিদ নির্মাণ এর জায়গা নির্ধারণ প্রক্রিয়াধীন। মতলব উত্তর উপজেলায় কাজ হয়েছে ৩৫%, হাজীগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলায় কাজ হয়েছে ৬০%।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের আলাদা ওজু এবং নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কুরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র থাকবে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা ও গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা রাখা হয়েছে।
মডেল মসজিদগুলোতে দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রম ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিকব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
৫৬০টি মডেল মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক একসঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮০০ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সবসময় দোয়া, মোনাজাতসহ তসবিহ পড়তে পারবেন।
মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। আরও থাকবে- ইসলামিক নানা বিষয়সহ প্রতিবছর এক লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। দুই হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। কেন্দ্রগুলোতে পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে।
৪০ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ৪ তলা, উপজেলার জন্য ৩ তলা ও উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নিচ তলা ফাঁকা থাকবে।