প্রতিযোগিতায় চাঁদপুরের সকল উপজেলা থেকে অর্ধশতাধিক গৃহিণী এবং নারী উদ্যোক্তারা ব্যতিক্রমী সব ইলিশ রেসিপি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের ভিন্নধর্মী এবং লোভনীয় সব ইলিশ রেসিপি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন আমন্ত্রিত অতিথি এবং বিচারকবৃন্দ।
এ প্রতিযোগীতা থেকে নির্বাচিত সেরা ১০ জন বিজয়ী আগামী ৯ নভেম্বর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত ইলিশ রেসিপি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবেন। সেখান থেকে সেরা তিনজনকে নির্বাচিত করে সেরাদের সেরা হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ তথা জাতীয় সম্পদ। ইলিশ চাঁদপুরকে পৃথিবীর বুকে পরিচয় এনে দিয়েছে। বর্তমান সরকার ইলিশের সম্পদের রক্ষা এবং এর বিস্তারে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আজকের চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ইলিশের বাড়িতে চাঁদপুরে ইলিশ রেসিপি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ইলিশ নিয়ে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনটি সত্যি প্রশংসা দাবি রাখে। আমরা আয়োজকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইলিশের যে এত বৈচিত্র্যময় এবং লোভনীয় রেসিপি হতে পারে, সেটি এই প্রতিযোগীতায় প্রমাণ মিলেছে। নারীদের কর্মদক্ষতার দ্রুতি ছড়িয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মনিরা ডাক্তার প্রমুখ।
প্রতিযোগীতার বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন,রন্ধনবিদ ও আইসিএবি ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি একাডেমি অফ বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট শাহনাজ ইসলাম, প্লাটিনাম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক আইভি আনোয়ার, পুষ্টিবিদ ও নিউট্রিশন প্যারেন্টিং সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. এরশাদ খান সালমান।