মেঘনাবার্তা ডেস্ক:
চাঁদপুরে ৪৮ ঘন্টায় নদী বন্দর কর্মকর্তা পরপর তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে৩১ মে এক জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার স্থলে একজন দেয়া হয়। তার মাত্র একদিনের মাথায় আবারো বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা প্রত্যাহার করে।বর্তানে নতুন বন্দর কর্মকর্তার নাম কাউসারুল আলম।
এদিকে তৃতীয় দিনেও চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর টার্মিনাল ত্যাগ করেছে। এ সময় লঞ্চগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের অবস্থান করতে দেখা যায়নি।
করোনা পরিস্থিতির প্রথমদিন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল না করায় বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাককে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল আবুল বাসার মজুমদারকে।
তিনি নৌ বন্দর কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে নিয়োগের মাত্র একদিনের মাথায় পরিবর্তন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা হিসেবে কাউসারুল আলম নামে নতুন করে আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নদী বন্দর কর্মকর্তা পরপর তিনবার পরিবর্তন করা হলেও শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বিআইডব্লিউটির পক্ষ থেকে।
এদিকে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে ব্যক্তি উদ্যোগে জীবাণুনাশক একটি ট্যানল স্থাপন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান জুয়েল এটি স্থাপনে সহযোগিতা করেন।