স্টাফ রিপোর্টার।। চাঁদপুর -৩ সদর ও হাইমচর আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নাঈম পাটওয়ারি দুলাল।
তিনি রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল দশটায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় ও চাঁদপুর আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় আব্দুল করিম পাটওয়ারীর জ্যেষ্ঠ পুত্র।
তিনি ২০০৪ থেকে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে চাঁদপুর যুবলীগের, মহাকুমা শাখার সদস্য, ১৯৭০ সালে চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতা আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ১৯৭০ এর নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে দলীয় প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করেন। তিনি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পিতার সাথে সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকাররা তার বাড়ী গান পাউডার দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন তার ২ চাচা শহীদ হন। তিনি স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে যুবলীগে যোগদান করেন।
৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় খুনি মোস্তাক এবং ষড়যন্ত্র মূলক পরিকল্পনাকারী খুনী জিয়ার মিথ্যা মামলায় ১৯৭৭ সালে তাকে কুমিল্লা কারাগারে আটকে রাখে। সেখানে কুমিল্লার বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাতসহ অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।
৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনী জিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রলোভনে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর আওয়ামী লীগের কতিপয় সুবিধাবাদী নেতা দল ত্যাগ করে আওয়ামী লীগকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াস চালায়।
তখন তিনি ও তার বাবা মরহুম আব্দুল করিম পাটওয়ারী সকল লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলবদ্ধ রাখেন। ৯০’র গনঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার ভাতিজা শহীদ রাজু পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি ৯৬’এর অসহযোগ আন্দোলনে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেন।
আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সারাদেশে বিএনপি-জামাতের তাণ্ডব লিলায় আহত নির্যাতিত ও মামলা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দল ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। ২০০২ সালে চাঁদপুর সদরের হাপানিয়া গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া এবং হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে চাঁদপুর বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শেখ হাসিনা (তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী) থাকাবস্থায় এক বিশাল জনসভায় অংশগ্রহণ করেন।
২০০৪ সালে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আহত নেতাকর্মীদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ১/১১ এর ক্রান্তিকালে সকল লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনরার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড এবং বঙ্গবন্ধুর
আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন এবং ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভূমিকা রেখে দলকে জয়যুক্ত করেন।
তিনি, চাঁদপুর জেলা আইন সহায়তাকারী সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন ও কার্যকরী সদস্য, জেলা খাস জমি বন্দোবস্তকারী কমিটির সদস্য, জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, বেসরকারী জেলা কারাগার পরিদর্শক, রেসিডেন্সিয়াল কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বিষ্ণুদী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সভাপতি, আক্কাস আলী রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, তিনি, চাঁদপুর জেলা আইন সহায়তাকারী সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন ও কার্যকরী সদস্য, জেলা খাস জমি বন্দোবস্তকারী কমিটির সদস্য, জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, বেসরকারী জেলা কারাগার পরিদর্শক, রেসিডেন্সিয়াল কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বিষ্ণুদী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সভাপতি, আক্কাস আলী রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, বিষ্ণুদী আজিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, চাঁদপুর হোমিও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, পাটওয়ারী বাড়ী জামে মসজিদের সভাপতি, মসজিদে গোর এ গরিবা কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক,
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি, বিষ্ণুদী ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, আবাহনী ক্লাব, চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ ও দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি, জাতীয় দৈনিক অনুপমা পত্রিকার উপদেষ্টা, প্রেসক্লাব চাঁদপুরের সদস্য, দৈনিক চাঁদপুর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, চাঁদপুর প্রেস মালিক সমিতির সভাপতি, আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের কার্যকরী সদস্য, চাঁদপুর ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের উপদেষ্টা,
জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি, চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো- অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাচিত ৩ বারের চেয়ারম্যান, বিষ্ণুদী আদর্শ সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এবং জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের সদস্য হিসেবে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ী স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হোন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি, বিষ্ণুদী ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, আবাহনী ক্লাব, চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ ও দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি, জাতীয় দৈনিক অনুপমা পত্রিকার উপদেষ্টা, প্রেসক্লাব চাঁদপুরের সদস্য, দৈনিক চাঁদপুর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, চাঁদপুর প্রেস মালিক সমিতির সভাপতি, আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের কার্যকরী সদস্য, চাঁদপুর ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেডের উপদেষ্টা,
জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি, চাঁদপুর সেন্ট্রাল কো- অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাচিত ৩ বারের চেয়ারম্যান, বিষ্ণুদী আদর্শ সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এবং জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের সদস্য হিসেবে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ী স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হোন।
আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল’ ২০০৩ সালে চাঁদপুর তিন নদীর মোহনায় লঞ্চ ডুবীর ঘটনায় নিহত ৪ শত মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করেন। প্রাণঘাতি করোণাকালীন সময়ে মানুষ যখন গৃহবন্ধী তখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধ বিতরণ, করোণায় মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল অসহায় ও সমাজের অবহেলিত ও বিচ্ছিন্ন মানুষের সাহায্যের জন্য মানবতার হাত বাড়িয়ে যেভাবে এগিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন চাঁদপুর বাসীর জন্য তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।