স্টাফ রিপোর্টার:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরনে শোক প্রকাশ ও গভীর শ্রদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত – শিবির নিষিদ্ধ করায় সরকার কর্তৃক গৃহিত সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জিনিয়ে চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ও থিয়েটার ফোরাম চাঁদপুরের আয়োজনে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী, নাট্যশিল্পী, সাহিত্যিক, কলাকুশলী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বৈরী আবাহাওয়ার মাঝে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি তপন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সহ সাধারণ সম্পাদক স্বরলিপি নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এমআর ইসলাম বাবুর পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন থিয়েটার ফোরাম চাঁদপুরের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য কন্ঠ শিল্পী রূপালি চম্পক, সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক হারুন আল রশিদ, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, কবি ও লেখক ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য রূপালী চম্পক, সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সহ সভাপতি বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, জাগরন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য শিল্পকলার সামনের রাস্তায় এসে দাঁড়াইনি। আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীরা আজ রাজপথে দাঁড়িয়েছি আমাদের অধিকার আদায় করতে। একাত্তরের পেত্মারা আবার মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। আমাদের শিল্প সংস্কৃতির উপর সেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আঘাত হানার চেষ্টা করছে। কোটা আন্দোলন ছাত্রদের নৈতিক অধিকার। আমরা চাই মেধার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য আপনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে তা শুরুতে মেনে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে কারা অনুপ্রবেশ করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের সাধারণ মানুষদের হত্যা করেছে তাদের বিচারের কাঠগরায় দাঁড় করাতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, থিয়েটার ফোরাম চাঁদপুরের সাধারণ সম্পাদক বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শুকদেব রায়, আনন্দ ধ্বনি সঙ্গীত বিদ্যায়তনের অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টু, রংধনু নৃত্য সংগঠনের সভাপতি সাধনা সরকার অনু, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি পিযুষ কান্তি বড়ুয়া, নৃত্যাঙ্গনের অধ্যক্ষ রুমা সরকার, সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ অনিমা সেন চৌধুরী, চাঁদপুর ড্রামার নাট্যাভিনেতা মজিবুর রহমান দুলাল, পরিমল দাস নুপুর, অনুপম নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ মন্ডল, নাট্যাভিনেতা কার্তিক সরকার, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, নাট্যাভিনেত্রী আশা আক্তার রুনা, বর্ণমালা থিয়েটারের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম মাসুদ, স্বদেশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কন্ঠ শিল্পী মনোজ আশ্চার্যী, বাউল শিল্পী গোষ্ঠী সাধারণ সম্পাদক মিঠুন বিশ^াস, নাট্যাভিনেতা একে আজাদ, মানিক পোদ্দার, জয়ধ্বনি সঙ্গীত বিদ্যায়তনের অধ্যক্ষ সুদীক কর, থিয়েটার ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল হোসেন, শিশু থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পিএম বিল্লাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহনবাশী স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা অজিত দত্ত, অরুপ নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক সাধন দত্ত, নাট্যাভিনেত্রী সপ্তমী রায়, বিনিময় নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি আলিম আল রাজী কবির, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সরকার, অগ্নিবীনা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিপ্রা মজুমদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক মনির হোসেন মান্না, অভিজিত আশ্চার্যী, অভিজিত রায়, দেবব্রত সরকার বিজয়সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
