নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা গৌরবের ৩০ বছর পূর্তি, স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর উপলক্ষ্যে এ বছরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনায় চুড়ান্ত প্রস্তুতির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামের বিজয় মেলার মঞ্চের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয় মেলার চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আব্দুল হামিদ মাস্টার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তারা কোনো মানুষ কে ঘর থেকে ধরে এনে হত্যা করিনি। আমরা হত্যা করছি শত্রুদের কে। বিজয় মেলার লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য হলো স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস প্রজন্মকে জানানো। ভুটান ও নেপাল আমাদের কে স্বাধীনতার স্বিকৃতি দিয় প্রথম। পরবর্তিতে ভারত সরকার ইন্দিরা গান্ধী আমাদের সহায়তা করেছে। আমাদের প্রায় ১ কোটি শরনার্থিদের তারা আশ্রয় দিয়েছে। যুদ্ধে তারা সেনা সদস্য দিয়ে সহায়তা করেছে। রাশিয়া, জার্মান আমাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২ লাখ বিরঙ্গনা নারী। তারা স্বাধীনতার অবদান রেখেছেন।স্বাধীনতার সময় মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব জেক্স ফোর্স গঠন করানহয়। আমরা তাকে খাটো করে দেখিনা। এমন সময় অর্থাৎ কুয়াশাছন্ন পরিবেশে আমাতের দেশ স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। তেমনি আজকের সেই পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে।আমি যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা। যার শরীরে গুলি লেগেছে সে বুঝেছে গুলির মজা কি? ডিসেম্বর মাস আসলেই প্রজম্ম জানতে চায় বিজয় মেলা কবে হবে। সেই জন্য বিজয় মেলার আয়োজন। আমরা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির উপস্হিতিতে বিজয় মেলার উদ্ধোধন করা হবে। ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর হানাদার মুক্ত দিবসে বিজয় মেলা শুরু করা হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোকান ছিল ১৬৮ টি। সাইজ ছিল ৫৬ ফিট। এ মাঠ নতুন হিসাবে স্টল করেছি ১১০ টি। সাইজ করা হয়েছে ১০ ফিট। করোনা কালে শিল্পীদেরকে বিজয় মেলার পক্ষ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা দিয়ে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আমরা ২৯ বছর ধরে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয় মেলা করে এসেছি।এ বছর বিজয় মঞ্চে স্বাধীতার সুবর্নজয়ন্তী ও মুজিব জম্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৪২ টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করবে।যানজট নিরসনে বহুদিন ধরে বিজয় মেলা স্হানান্তরে বিষয়টি বলা হচ্ছে। সেই জন্য চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে করা হচ্ছে। তাই এটি প্রচার করা প্রয়োজন। তাই সকলকে আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবস। এ দিবসেই চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদ্ধোধন করা হবে। আমরা সকলের মতামতের ভিত্তিতে বিজয় মেলার কার্যক্রম করে যাব। আমরা বিজয় মেলার মাধ্যমে আমাদের প্রজম্মকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ইতিহাস শিক্ষা দিতে পারি তাহলেই আমাদের সার্থকতা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আমরা ভর করে বিজয় মেলা শুরু হয়নি। চাঁদপুরের বিজয় মেলা আছে, থাকবে। এ মেলা চলবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন শুনে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলাম। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েছি। কোনো হত্যাকেই অস্বিকার করা ঠিকনা। ইতিহাস ইতিহাসের জায়গায় রাখা প্রয়োজন। আমরা এদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ করেছি। সাংস্কৃতিক কর্মীরা সব সময় স্বাধীনতার কথা বলে তাদের অনুষ্ঠান করে থাকে।
আরো বক্তব্য রাখেন, বিজয় মেলার চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ,উপদেষ্টা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, আব্দুল হামিদ মাস্টার, ডেপিটি কমান্ডার ইয়াকুব আলী মাস্টার, সাবেক মহাসচিব ও স্টিয়ারিং কমিটির সহ সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার,সদস্য শহিদ পাটোয়ারীর , ভাইস চেয়ারম্যান অজিত সাহা,অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূইয়া, তাফাজ্জল হোসেন পাটোয়ারী এসডু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম বাবু, রহিম বাদশা, সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক তপন সরকার, নাট্য পরিষদের সদস্য সচিব এম আর ইসলাম বাবু।
উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক গিয়াসউদ্দিন মিলন,এএইচএম আহসান উল্লাহ, শরিফ চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান সুমন, মেলার কর্মকর্তা মহসিন পাঠান, আবুল কালাম চিশতী, প্যানেল মেয়র অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন, মির্জা জাকির, সোহেল রুশদি, নাট্য পরিষদের আহ্বায়ক গোবিন্দ মণ্ডল, মাঠ ও মঞ্চের সদস্য সচিব মানিক দাস, মিডিয়া কমিটির সচিবকে এম মাসুদ, স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক মনির হোসেন মান্না, সদস্য সচিব অভিজিত রায়সহ আরো অনেকে।