চোরের কান্ড……………

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী’। বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত এ প্রবাদটি তার সার্থকতা আবারও জানান দিলো খোদ থানার সামনের মন্দিরে চুরি করে। পুলিশের কড়া নজরদারি, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নিবিড় পর্যবেক্ষণ কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে চোর ব্যাটা তার কর্মসাধনে এতটুকুও বিচলিত হয়নি। চুরি করে অতঃপর গ্রেফতারও হয়েছেন তিনি ।

৬ ডিসেম্বর বুধবার রাতে মন্দিরের সামনে অবস্থিত থানায় চোর আসে মামলা করতে। মাদক সেবনের অপরাধে স্থানীয়দের মারধরের শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে এসে তার কাঙ্খিত দারোগাকে না পেয়ে মামলা না করেই ঘোরাফেরা করে থানার আশেপাশে। একপর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় দেয়াল টপকে থানার সামনের মন্দিরে ঢুকে প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা চুরি করে। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি চোর আকতার হোসেনের (২৫)। থানা ও মন্দিরের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে চুরির ১০ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের হাতে আটক হয় সে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রেস কনফারেন্সে এ কথা জানায় থানা পুলিশ।

আটককৃত চোর আকতার হোসেন উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে।

প্রেস কনফারেন্সে থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম জানান, আটককৃত আক্তার হোসেন একজন পেশাদার চোর। তার আতঙ্কে নিজ গ্রামের লোকজন সবসময় আতঙ্কিত থাকে। চুরি করতে গিয়ে সে ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর হাতে ১০/১৫ বার গণপিটুনির শিকার হয়েছে। সর্বশেষ কয়েকদিন পূর্বে আকতার মাদকসেবন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়। এই ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানায় আসে মারধরের ঘটনায় মামলা করতে। গভীর রাত হওয়ায় সে থানার মুখোমুখি থাকা উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর আখড়ার ভিতরে প্রবেশ করে প্রণামী বাক্স ভেঙ্গে টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।

প্রেস কনফারেন্সে ফরিদগঞ্জ থানা উপপুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Loading

শেয়ার করুন: