
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের লুধুয়া আমতলা গ্রামের প্রধান বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ছেলে মো. রোমান। সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক।
নিহত আব্দুস সোবহানের ছোট ছেলে জাহিদ হাসান জানান, আমার মেঝো ভাই প্রবাস ফেরত রোমান ধারালো ছুরি দিয়ে বাবার পেটে, বুকে ও বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত করে। যার ফলে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরবর্তীতে আমার বাবাকে চিকিৎসার জন্য মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুস সোবহান এর স্ত্রী মৃত শিরিন বেগম গত কয়েক বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার দুই বছর পর হতে আব্দুস সোবহান পুনরায় দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য ছেলেদেরকে বললে ছেলেরা দ্বিমত পোষন করেন এবং উল্টো ছেলেরা মিলে বাবাকে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এই নিয়ে বাবা ছেলেদের মধ্যে প্রায় বাকবিতণ্ডা ও ঝগড়াঝাটি হয়। মূলত এসব বিষয় নিয়ে হত্যার ঘটনা হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির জানান, বুধবার দুপুরে ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুস সোবহানের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিহতের অভিযুক্ত ছেলে মো. রোমান পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।