ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
ফরিদগঞ্জের রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে নারী ভোটারদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধকরণে তাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য (পিএসসি) মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান । বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে গৃদকালিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমাদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন ও হাদিসে নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে ভোটকে পবিত্র আমানত হিসেবে উল্লেখ করে তা সঠিক নেতা নির্বাচনের জন্য প্রয়োগের কথাও বলা হয়েছে। কোথাও ‘নারীরা ভোট দিতে পারবে না’-এ কথা উল্লেখ নেই। তাই এতদিন ধরে আপনারা যেই কুসংস্কারের মধ্যে আবদ্ধ রয়েছেন, তা ভুল। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনেও কিছুসংখ্যক নারী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমাদের জানা মতে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই আপনারা পর্দার মধ্যে থেকেই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনে অংশীদার হবেন।
তিনি আরও বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যাতে পুরুষদের পাশপাশি নারীদেরও ভূমিকা রয়েছে। তাই জড়তা ভেঙ্গে অন্ধকার থেকে আমাদের আলোর পথে আসতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের আয়োজনে এই উঠান বৈঠকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা নিার্বচন কর্মকর্তা তোফয়েল আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিএস তছলিম আহমেদ, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন খান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার মোস্তফা কামাল, গৃদকালিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাও. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এসময় সভায় বিপুল সংখ্যক নারী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পুরুষের পাশাপাশি সকল কাজ করলেও স্বাধীনতার পর থেকে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের নারীরা ওই এলাকার জৈনপুরের পীরের একটি অনুরোধকে ভুল ব্যাখ্যা করে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ভোট প্রদান করছে না। তবে গত এক দশক ধরে প্রশাসনসহ সর্বমহলের প্রচেষ্টায় নামমাত্রসংখ্যক নারী ভোট দিলেও বাকীরা আতংকে ভোটকেন্দ্র আসছে না।