
নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে অনেকগুলো দলের জোট ছিল। সেটি ১৯৯৯ সাল থেকে, তবে অনেকেই জানেন এটি এখন আর নেই। ২০২২ সালে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা যখন কারাগারে তখন দলের নেতৃবৃন্দের আলাপ না করেই জোট ভেঙ্গে দেয়া হলেছিল। কেন জোট ভাঙ্গা হলো কি কারণে ভাঙ্গা হলো। এটি নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। জোটের শরীকদের কোন ব্যাখা নেই। একারণেই এখন অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের জোট নেই। এব্যাপারে আমরা আর কোন কথা বলতে চাই না। আমাদের কাছে জাতীয় ঐক্য জনগণের ঐক্য।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনা ফেরিঘাট এলাকায় রাজনৈতিক সফরকালে এই রুটে যাওয়ার সময় ঘাটে অবস্থানরত জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদি, অপশক্তি ও কর্তৃত্ববাদী বিরুদ্ধে ওই সময় এই ঐক্যটা গড়ে উঠেছিল। এখন জোট নেই,তবে আওয়ামীলীগ যতদিন ক্ষমতায় ছিল তাদের অত্যাচার ,জুলুম, নিযার্তনের জনগণসহ যার যার অবস্থা থেকে আন্দোলন করেছি।
জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, জামায়াত একটি নির্বাচনমুখী দল। বিগত বছরে যতগুলো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে জামায়াত তাতে অংশগ্রহণ করেছে এবং বিজয়ী হয়েছে। ওই সময় জাতীয় সংসদে কমবেশি জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। আমরা আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। বাংলাদেশের ৩০০টি আসনেই প্রার্থী দেয়ার জন্য মাঠ জরিপ করে প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
তিনি বলেন, এখন কথা হলো যে কোন একটা জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন দলের সাথে সমযোতার হতে পারে। এরপরও অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোর সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। তারাও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আগের চাইতে বেশি আগ্রহী হয়েছেন। নির্বাচন এগিয়ে আসলে অনেক সমীকরণ হয়। কে কার সাথে জোট করবে এবং জোটে কয়টি দল থাকবে। নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসবে এই জোট করার বিষয়টি তত গুরুত্ব পাবে। আমাদের দল জোট করার ক্ষেত্রে অনেকটা ছাড় দিবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৫ আগস্ট এর চেতনাকে কঠোরভাবে ধারণ করি। একই সাথে একটি কল্যাণ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের কোন বিবেদ নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের ইসলামের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, শহর জামায়াতের আমির এডভোকেট মো. শাহজাহান খান, সেক্রেটারি শেখ বেলায়েত হোসেন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী, সেক্রেটারি মো. জুবায়ের হোসেন, সহ সেক্রেটারী সুলতান মাহমুদ।