টাকা দিয়ে ভোট কেনার মহোৎসব চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মহাসচিব ড. মো. শাজাহান।
তিনি বলেন, কয়টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের অভিযোগ করব। আমার নিজ কেন্দ্রও ঝুঁকিপূর্ণ। পরিবেশ না পেলে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু ভোট করে তাদের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে দেশের নির্বাচনে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে রূপসা সড়কে নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মো. শাহজাহান চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে বিএনএমের নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাংবাদিক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া, জালাল আহমেদসহ ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ড. মো. শাজাহান বলেন, আমার নির্বাচনী সব এলাকায় একটি মারমুখী অবস্থা তৈরি হয়ে আছে। যদিও প্রশাসন দৃঢ়তার সঙ্গে বলছে এগুলো তারা হতে দেবে না। কিন্তু আমি মনে করি আমার নির্বাচনী এলাকার ১১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ।
ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি দুরকম হতে পারে। একটি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি চাপ কাজ করছে। অর্থাৎ এখনই ভোটারদের অনেকে বলছেন পায়ের টেংরি কেটে দেব, মারব এবং ৭ তারিখের পর দেখে ছাড়ব। তাই অনেক নিরীহ ভোটার আছেন এই ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাচ্ছেন না। অপরটি হচ্ছে তাদের রণ প্রস্তুতি দেখে প্রশাসন যে নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন এটাকে তারা এখনো আস্থায় আনতে পারেননি। আবার কেউ কেউ বাড়িতে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন ভোটকেন্দ্রে যেন না যাওয়া হয়। এতে একটি শঙ্কা থেকেই যায়। কিন্তু সার্বিকভাবে আমি মনে করে বাংলাদেশের মানুষ ভোটকে একটি উৎসবের মতো মনে করে। ৫ বছর পর ভোট আসে। ভোটের পরিবেশ থাকলে অবশ্যই লোকজন কেন্দ্রে আসবেন।
ড. মো. শাজাহান বলেন, সরকার এই চ্যালেঞ্জ যদি গ্রহণ করতে না পারে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে বহির্বিশ্বের যে ধারণা রয়েছে অর্থাৎ রেপুটেশনে ধ্বস আসবেই, তার সঙ্গে সরকারের বাণিজ্যসহ অন্যান্য যেসব চাপ রয়েছে সেগুলোর সম্মুখীন হবে। সরকার চাপে থাকা মানে দেশের জনগণে চাপে থাকা। যার ফলে দেশের জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচরণার ক্ষেত্রে আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সাধারণ মানুষ আমাকে গ্রহণ করেছে। আমি সবচাইতে বেশি সাধারণ মানুষের কাছে গিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এবং পরিবেশ ভালো থাকলে অবশ্যই অনেক ব্যবধানে আমি বিজয়ী হবো। সার্বিক বিষয় নিয়ে আমি প্রতিনিয়ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি।