তথ্য প্রযুক্তি সাংবাদিকতার উৎকর্ষতা এনে দিয়েছে:জেলা প্রশাসক

 

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, এক সময় সকালে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পত্রিকা পড়া ছিলো মনের খোরাক। প্রযুক্তির কারণে এটির মধ্যে এখন অনেক ভিন্নতা এসেছে। ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে সংবাদ লিখে অফিসে জমা দিয়ে জোগান দিতে হতো। এখন তাৎক্ষনি ঘটনাস্থলে বসেই একটি সংবাদ সম্পাদনা করতে হচ্ছে এবং তা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি আপনাকে সাংবাদিকতার উৎকর্ষতা এনে দিয়েছে। মোবাইল সাংবাদিকতা মানে মোবাইলে সাংবাদিক নয়, এটা হচ্ছে এখন স্মার্ট সাংবাদিকতা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা ২টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দক্ষ হলে সাংবাদিকতার মান বৃদ্ধি পাবে। এতে আপনারা একটি ফরমেটের মধ্যে চলে আসবেন। আপনাদের মান বৃদ্ধির জন্য আমাদের কাজ করা দরকার। এই বিষয়টিতে আমি গুরুত্ব দিব। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণের জন্য সহযোগিতা করবো।

প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।

তিনি বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ঐতিহ্য আছে এবং ব্যতিক্রম। মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ে যে প্রশিক্ষণ হয়েছে এটি এই সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিস্থিতি এমন হয়েছে সাথে মোবাইল না থাকলে মনে হয় খুবই অসহায়। কারণ এটি আমাদের দৈনন্দিন কাজের একটি অংশ। এই প্রশিক্ষণ দ্রুত সংবাদ তৈরি করে পাঠানোর জন্য গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের পুলিশের কেউ কেউ দেয়া প্রয়োজন ছিলো। কারণ এটি আমাদের কাজের সাথেও জড়িত। পেক নিউজ কিংবা যারা গুজব ছড়ান তারা দেশ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

এসপি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে আমাদের নানাভাবে সম্পর্ক। আপনাদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই আমরা অনেক বিষয় শেয়ার করি। আপনাদের প্রতি আমার আহবান থাকবে সমাজের নানা প্রতারণা বিশেষ করে অনলাইনে ইলিশ বিক্রি এসব বিষয়গুলো লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরবেন।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী জিলহাজ উদ্দিন নিপুন। তিনি বলেন, সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের অনুভুতির মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন সফল হয়েছে। ১০০ বছরের আগে কিংবা পরে সাংবাদিকদের মানের উন্নয়ন হবে কিংবা সাংবাদিকতার ধারা একই থাকবে।

অনুভুতি প্রকাশ করে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুনির চৌধুরী, আলম পলাশ, ফারুক আহমেদ, সোহেল রুশদী, লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্র ধর, আল-ইমরান শোভন, আব্দুল আউয়াল রুবেল, সাংবাদিক তালহা জুবায়ের, ফরিদ উদ্দিন উকিল ও শাওন পাটওয়ারী।

অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, পিআইবির কর্মকর্তাদেরকে উপহার প্রদান করা হয়। সবশেষে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলেদেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি।
তিনদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে মোবাইল সাংবাদিকতার নানা দিক এবং ফ্যাক্ট চেকিং এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জিটিভির নির্বাহী প্রযোজক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গনমাধ্যম যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জামিল খান ও এএফপির বাংলাদেশ এডিটর (ফ্যাক্টচেক) বদরুদ্দীন শিশির।

Loading

শেয়ার করুন: