দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ইজিপি কার্যক্রমে বাংলাদেশ পাইওনিয়র হয়ে আছে: সচিব আবুল কাশেম

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

চাঁদপুরে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট(ইজিপি) বিষয়ক সচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের সচিব বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ইজিপি কার্যক্রমে বাংলাদেশ পাইওনিয়র হয়ে আছে। এরপরও এ বিষয়ে আরো বেশি ইমপ্রুভ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন আজকের মতবিনিময় সভায় বোঝাগেছে যে,এখনো এ পদ্ধতিতে অনেক ত্রুটি রয়েছে। এগুলো সংশোধন করা প্রয়োজ। আমরা পিপিআর এর রুলস পরিবর্তনের কাজ হাতে নিয়েছি।এসব কাজ অব্যাহত রয়েছে।

উন্মুক্ত আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ হচ্ছে, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অর্থবছরে নির্দিষ্ট টাকার বেশি যাতে কাজ না দেয়া হয়। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এগোচ্ছি। ইতিমধ্যে যদি কোন প্রতিষ্ঠানকে অনেক হারে কাজ দেওয়া হয়ে থাকে তবে তা’ ঠিক হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আজকের মতবিনিময় সভায় যে সকল যৌক্তিক প্রস্তাব এসেছে তা সহসাই কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হবে। সুতরাং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সকলকে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ পাবলিকক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি বিপিপিএ -এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহেলের রহমান চৌধুর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মাহমুদ কামরুল হাসান এবং পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলা।

জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের কর্মশালা অনেকটা মতবিনিময় সভার মতো হয়েছে। আমরা সবাই কোন না কোনভাবে ইজিপির সাথে সংযুক্ত। ২০১১ সালে শুরু হওয়া ইজিপি পদ্ধতিতে সরকারি ৯০ ভাগ দপ্তরে কার্যকর হয়েছে। আজকে যেসব কথা এখানে উত্থাপন হয়েছে এবং নোট হয়েছে, আশা করি সেগুলো বাস্তবায়ন হবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আজকের এই কর্মশালায় এসে অনেক অজানা তথ্য জানার সুযোগ হয়েছে এবং অনেকগুলো বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। কারণ, এই কাজে আমরাও জড়িত। ইজিপির কারণে সবচাইতে বেশী উপকৃত হয়েছে পুলিশ বিভাগ। কারণ আগে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। অনেক দপ্তর টেন্ডার প্রক্রিয়ার সময় পুলিশ দেয়ার জন্য বলতেন। টেন্ডার বক্স ছিনতাই হওয়ার মত অনেক ঘটনাও ঘটেছে। আমার মতে এখন ইজিপিতে যেন কোন সিন্ডিকেট নাই। তবে এক আইডি ব্যবহার করে যেন একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে টেন্ডারে অংশগ্রহন করতে না পারে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে যারা জড়িত তারা অনেকেই রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। যে কারণে এই পদ্ধতি করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের চাপের মধ্যে থাকতে হয়। এসব সমস্যাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

ইজিপি বিষয়ে উপস্থাপনা করেন ড, জিনাত সুলতানা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইজিপির অগ্রগতি বিষয়ক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয। কর্মশালায় চাঁদপুর জেলার সকল সরকারি ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ঠিকাদারগণ অংশগ্রহণ করেন।

Loading

শেয়ার করুন: