মনিরা আক্তার মনি:
চাঁদপুর-২ (মতল ব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, অবরোধের নামে যারা মানুষ হত্যা করে তারা মানুষ না। তাদের হাত থেকে সাধারন মানুষসহ পুলিশ, সাংবাদিক, বিচারপতি, কেউই রেহাই পায়নি তাদের অত্যাচার থেকে। তারা দূর্নীতিতে সেরা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী কেষ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তৃণমূল আওয়ামীলীগসহ সর্বস্তরের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। আপনাদের স্বতস্ফুত উপস্থিতি ও ভালোবাসা দেখে বুঝাতে পারছি কত ভালোবাসেন। আগামী ৭ জানুয়ারী সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আমার বিশ্বাস বিপুল ভোটের ব্যবধানে এ আসনে আপনারা নৌকাকে বিজয়ী করবেন।
তিনি আরো বলেন, এই আসনে আপনাদের ভোটে দুইবার নির্বাচিত হয়েছি এবং মন্ত্রী হয়েছি। মতলবে আমি যে উন্নয়ন করেছি তা কেউ করতে পারেনি। একটি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা, মায়া বীরবিক্রম সেতু, মায়া বীরবিক্রম সড়ক, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালবার্ট, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা’সহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ছিল শীর্ষে।
প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং মতলববাসীদের ধন্য করেছেন আমরা সবাই মিলে এ আসনে নৌকাকে বিজয়ী করে নেত্রীকে উপহার দিতে দিবো।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল ও বিশাল শোডাউন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত, সাবেক মন্ত্রী ও চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এ কথা বলেন।
বৃহত্তর মতলব আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, মতলব দক্ষিন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জর্জ, উপজেলা আওয়মী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আইয়ুব আলী, গাজী ইলিয়াছুর রহমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. হানিফ দর্জি, সদস্য রাধেশ্যাম বাবু চান্দু, এ্যাড. সেলিম মিয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সদস্য আহসান হাবিব হাসান, ওবায়েদ উল্লাহ সিদ্দিকী কাজল, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির হোসেন বেপারী, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, গজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানা উল্লাহ মোল্লা, জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সভাপতি মুক্তার গাজী, বাগানবাড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সেলিম, সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবুবকর ছিদ্দিক খোকন, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান, এখলাছপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহান নেতা, সাদুল্লাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মুন্সী, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন, কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা, দূর্গাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান মো. আবুল খায়ের, ফরাজিকান্দি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, কলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এটিএম মজিবুর রহমান, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির রায়হান, ফখরুল ইসলাম রনি, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, শ্রমিকলীগ নেতা শামীম প্রধান, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসন কাজল, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের আহমেদ জনি ।
মঙ্গলবার আনন্দ মিছিল ও শোডাউনটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। মতলব উত্তর উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।