অনলাইন ডেস্ক
৭ আগস্ট বুধবার দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে এই দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্বটি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজটির শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে কলেজটিতে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বে ছিলেন প্রফেসর রতন কুমার মজুমদার।
এদিন সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা রতন কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের প্রতি অতিভালোবাসা দেখানোর অভিযোগ তুলে নানা স্লোগান দেন। একই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার তার বিভিন্ন ফেসবুক পোষ্ট দলীয়করণ হওয়ার নিন্দা জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক হচ্ছে সার্বজনীন বিষয়। কিন্তু তিনি এ পেশায় থেকে একেবারে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীর মতো আচরণ দেখিয়ে শিক্ষক পেশার মানসম্মাণ ক্ষুন্ন করেছেন। আমরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গণ দেখতেই সকলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ওনাকে অপসারণ করতে বাধ্য হলাম। এর আগে উত্তেজিত বেশ কিছু শিক্ষার্থী রতন কুমার মজুমদারের কলেজে বসার কক্ষসহ পুরো কলেজে ভাঙ্গচুরসহ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম শুরু করেন। পরে শিক্ষকরা দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সচেতন শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপে তাদেরকে শান্ত করতে লে. মোঃ শোয়ায়েব কে পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুজিয়ে দিয়ে ফুলের মালা পড়িয়ে দেন।
দায়িত্ব পেয়ে কলেজের নবাগত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লে. মোঃ শোয়ায়েব বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যে সকল শিক্ষার্থীরা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় করছি। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে যেনো আল্লাহপাক দ্রুত সুস্থ করে দেন। ছাত্র শিক্ষকরা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে পালনের চেষ্টা করবো। আমি সকালে যখন কলেজে আসলাম তখনও ভাবিনি যে এই চেয়ারের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হবে। আমাকে এভাবে সম্মানিত করায় আমার প্রিয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।