নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। তাই তিনি ত্যাগ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষকে ভালোবেসে অকৃপণভাবে মেধা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে সোনার বাংলা গড়ে তুলেছেন। জাতির পিতা শিক্ষা ও শিক্ষককে অনেক বড় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত ও অধিষ্ঠিত করেছিলেন। শিক্ষকদের ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলেন। বর্তমানেও বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন শিক্ষকদের মুক্তির হাতিয়ার।
তিনি ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর পৌরসভা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেই বুঝতে পেরেছিলেন শিক্ষাই হলো মুক্তির হাতিয়ার। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করে আমরা দেখতে পাই, প্রকৃত শিক্ষাই পারে মানব মুক্তির পথের সন্ধান দিতে। তার লক্ষ্যই ছিল শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার ধারণাটি প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধু বাস্তবায়ন করেছিলেন কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন। যেটা ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বৈজ্ঞানিক শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা।
চাঁদপুর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকতা আবুল কালাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানসুর আহমেদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, পৌর কাউন্সিলর আয়েশা রহমান, খালেদা বেগম, হাবিবুর রহমান দর্জি, ইউনুছ শোয়েব প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাও. আবুল বাশার সর্দার, পীর মহসিন পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মৃদুলা সাহা, পশ্চিম বিষ্ণুদি রেজিস্টার্ড পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা লাকি, হাফেজ মাহমুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানা নার্গিস, পীর মহসিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম খান, আমিনুল হক পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অনিমা সেন চৌধুরী।