ফরিদগঞ্জে জলাবদ্ধাতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

টানা বর্ষণে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, মাছের প্রজেক্ট, উঠতি ফসল ও শাক-সবজির । এদিকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম। চাঁদপুর সেচপ্রকল্পের স্লুইচ গেইট দিয়ে পানি নামার ব্যবস্থা করা হলেও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় জলাবদ্ধতা হ্রাসের কোন লক্ষণ নেই।

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভারি বর্ষণের কারণে উপজেলার প্রাথমিকের ১৯০টি এবং মাধ্যমিক , উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে টইটম্বুর। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেও ভিতরেও পানি প্রবেশ করেছে। তাছাড়া স্কুলের আশপাশের প্রায় সকল সড়কে পানি থাকায় এবং প্রায় প্রতিটি বাড়িই পানিবন্দি হয়ে পড়ায় শির্ক্ষাথীরা চাইলেই স্কুলে আসতে পারছে ননা। এদিকে সরকারি ভাবে ২৬টি হলে বাস্তবে আরো বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

কেরোয়া ও গাজীপুর এলাকার মৎস্যচাষি আঃ রব, মো: ইসমাইল হোসেন সোহেল, মোঃ আমিন মিজি কাউন্সিলর মোঃ নাজিম উদ্দিন জানায়, মোঃ কামাল মাল , সাইফুল ইসলামনহ অনেকে জানান, যৌথ পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রায় শতাধিক চর, পুকুর ও নদীতে মাছ চাষ করেছেন। অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধাতার কারণে এসব খামারের মাছ ভেসে গিয়ে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাদের দাবী সহজ ও স্বল্প শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা।

উপজেলা মৎস্য কর্মর্কতা বেলায়েত হোসেন বলেন, পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষতির পরিমান জানা যাবে। সহজ ও স্বল্প সুদে ঋণ দিলে মৎস্য চাষিরা ঘুরে দাড়াতে পারবে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আফতাবুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের যাচ্ছেন । তবে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসেনা , তাই পাঠদান বন্ধ রয়েছে। একই কথা বলেছেন একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্যাহ আল মামুন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর জানান, অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধাতার কারণে আমন ১২৬ হেক্টর, রোপা আমন ২৬০ হেক্টর, রোপনকৃত আমন ৩৯৫ হেক্টর, আখ ১২৮ হেক্টর , শাকসবজি ১২৫ হেক্টও ফল আক্রান্ত। বিশেষ করে শাক-সবজির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের খুবই কষ্ট হবে।

পল্লী বিদ্যুতের ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, টানা বৃষ্টিতে কারণে গাছপালা উপছে পড়ে ১০/১২টি ট্রান্সফরমার বিকল হয়েছে, অনেক জায়গায় তার ছিড়ে পড়েছে, বেশ কিছু জায়গায় খুঁটি হেলে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল বলেন, অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধাতার কারণে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পানি সরে যাওয়ার পর প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা যাবে।

 

 

Loading

শেয়ার করুন: