ফরিদগঞ্জে মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

 

 

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো :

ফরিদগঞ্জে চিহ্নিত এক মাদক কারবারিকে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে এমন ঘটনায় এলাকাজুুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব সন্তোষপুর গ্রামে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে হত্যার হুমকির শিকার ভুক্তভোগী একটি পরিবার।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় ওই গ্রামের মিজি বাড়ির বাবুল হোসেনের ছেলে মো. সাকিল (২৭) মাদক কারবারের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এতে কিশোর ও যুবসমাজ নষ্ট হচ্ছে এমন আশঙ্কায় মাদকের স্পট চিহ্নিত করে তাকে ধাওয়া দিলে ওই গ্রামের খামার ব্যবসায়ী আলী আকবরের পোল্ট্রি খামারের পাশে গিয়ে গোপনে মাদক কারবার পরিচালনা করে শাকিল ও তার চক্রের সদস্যরা। বিষয়টি টের পেয়ে সাকিলকে মাদক কারবারে বাধা দেয় খামার ব্যবসায়ী আলী আকবর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাকিল ভুক্তভোগীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সে উদ্ধার হয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব, আবুল কালাম ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো অনেকেই জানান, সাকিলকে ইতিপূর্বেও মাদক (ইয়াবা) কারবার থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আমরা এর আগেও তার মাদক কারবারের বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।
ভুক্তভোগী আলী আকবর বলেন, সাকিল আমার প্রতিবেশি, সে আমার খামারের পাশে এসে বিভিন্ন সময় অবস্থান নেয় এবং তার কাছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আসে মাদক আদান-প্রদান করতে। আমি তাকে বাধা দিয়েছি মাদক কারবার না করতে। কিন্তু এটা যে আমার জীবনের জন্য হুমকি হবে আমি বুঝতে পারিনি। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে লিখিত অভিযোগ করেছি।

এদিকে অভিযুুক্ত সাকিলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা-মার সাথে কথা বললে তাদের ছেলে মাদকের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রথমে অস্কীকার করলে পরে স্বীকার করেছে। তারা বলেন, আলী আকবরের সাথে আমার ছেলের টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে, তাই এমন ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। মাদকের বিষয়য়ে কোনো আপোষ নয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি মাদকের সাথে সাকিলের সম্পৃক্ততার কথা। যারাই মাদকের সাথে জড়িত, মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

ফরিদগঞ্জ থানার উপপুুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে, পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

 

Loading

শেয়ার করুন: