ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মুহা জয়নাল আবদিন বলেছেন,টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ফেনী নোয়াখালী কুমিল্লা অঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়িয়েছে ফেনীর ফুলগাজী পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ,পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। ভারতের এ পানি আগ্রাসন নতুন নয়। শুষ্ক মৌসুমে যখন আমাদের পানির প্রয়োজন তখন পানি বন্ধ করে দেশকে মরুভূমিতে পরিণত করে । আর আমাদের বর্ষা মৌসুমী যখন পানির প্রয়োজন নেই বরং পানি বিপদের কারণ হবে তখন তারা তাদের বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ভয়াবহ বন্যার দিকে ঠেলে দেয়।
ইহা ছাড়া অতি বর্ষণে চাঁদপুরের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে বেড়িবাঁধের ভিতরে অনেক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক যায়গায় শহরের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গিয়েছে। তাদের নিত্যদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে । বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের প্রয়োজনীয় খাবার ও ঔষধ সরবরাহের জন্য আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন ,তাই আমি অনুরোধ করব প্রত্যেক এলাকায় যারা বিত্তবান রয়েছেন প্রত্যেকেই তার দায়িত্ববোধ থেকে প্রতিবেশীর খোঁজ খবর রাখুন ইনশাআল্লাহ আমরাও সাধ্যমত খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করছি এবং জরুরী প্রয়োজনে হেল্পলাইন নাম্বার আমরা সোশ্যাল মিডিয়া পাবলিস্ট করেছি। করোনা কালীন সময়ে যে সকল স্বেচ্ছাসেবক টিম বিভিন্ন উপজেলা শাখায় গঠন করা হয়েছে তারা আবার সক্রিয়ভাবে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকুন। আমরা সকলে মিলে যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি আশা করি ইনশাআল্লাহ দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা কাটিয়ে তোলা সম্ভব হবে। ইহা ছাড়া প্রতিবেশী জেলাগুলোর খোঁজখবর নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর তৌফিক দান করুক।