নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্নিল আয়োজনে কুমিল্লা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ‘এম আর চৌধুরী’ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং জিওসি মেজর জেনারেল মোহম্মদ মাইনুর রহমান। বক্তব্য শেষে চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারবৃন্দ, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন জিওসি মেজর জেনারেল মোহম্মদ মাইনুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা ও মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কুমিল্লা এরিয়া মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য এবং তাদের নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন। এরপর কেক কেটে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাঙালি সেনা কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, সেনানিবাসে অবস্থিত অসামরিক ব্যক্তিবর্গকে পাক হানাদাররা অতর্কিত হামলা চালিয়ে অন্তরীণ করা হয়। অন্তরীণ করা হয় কুমিল্লা শহরের অনেক সরকারি কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে। তারপর শুরু হয় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। ২৪ জন সেনাকর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ৩০০ জন সেনাসদস্য এবং ইস্পাহানী পাবলিক স্কুলের ১১ জন শিক্ষকসহ প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তিবর্গকে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী হত্যা করে। আমরা শ্রদ্ধার সাথে তাদের স্মরণ করছি।
কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ আসনের এমপি শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগৈর সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মঞ্চে উপবিষ্ট চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লে: অবসরপ্রাপ্ত এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাঈম পাটওয়ারী দুলালসহ
বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ পরিবারে সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।