নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
হাইমচর উপজেলার ৪ নং নীলকমল ইউনিয়নের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুরে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে, এতে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী সহ সর্বস্তরের জনগণ।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে ৪ নং নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় ভাঙনের শিকারে ভিটে মাটি হারা নারী-পুরুষ,শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন মানববন্ধন করেন। সেখানে ভাঙন রোধে হেয়ালিপানা কেনো তা নিয়ে উপস্থিত মানুষের নানাহ অভিযোগ।
বিগত কয়েক বছরে ঈশানবালার মুল বাজার তিনটি মেঘনার তল দেশে চলে গেছে, তার সাথে হাজারো মানুষের বসত ভিটে ঘর বাড়ি সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কৃষি জমি। প্রতি বারই ভাঙন রোধ করার আশ্বাস থাকলেও তাহা কার্যকর না হওয়ায় উত্তাল মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ইউনিয়নটি। প্রতিরোধে এক বস্তা জিও বালিও ফেলা হচ্ছে না, ফলে দিনের পর দিন মেঘনার ভাঙন অব্যহত থাকে।
এদিকে ভাঙনের শিকার এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাউদ আল নাছের, ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খলিল মাতাব্বর, শিক্ষক নুরুজ্জামান শিকদার, স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল কালাম বেপারী, আব্দুল জাব্বার উকিল, বাচ্চু পেদা, আল-আমিন হাওলাদার ও শাহিদা বেগম।
বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছর মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ফসলি জমি, বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, পুলিশ ফাঁড়িসহ বহু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার প্রত্যেকটি পরিবার ৬-৭ বার নদী ভাঙনের শিকার। সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অনেকে এখন ছিন্নমূল। সম্প্রতি আবার নদী ভাঙন তীব্রতর হয়েছে। অস্থায়ী কোনো কাজ না করে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবি জানান তারা।
নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের বক্তব্যে বলেন, ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ এলাকা কয়েক বছরের ভাঙনে নদী গর্ভে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বহু স্থাপনা ভেঙে গেছে। সরকার এই ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না করলে উপজেলার মানচিত্র থেকে এই ইউনিয়ন হারিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। জনগণের দাবি হিসেবে সরকারের কাছে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবি জানাচ্ছি। বিগত বছরে হাজার হাজার বসত ঘর সহ ভিটে মাটি হারিয়েছে সাধারণ মানুষ, মাএ তিন কিলোমিটার এলাকা বাধের অভাবে পুরো ঈশান বালা বাজার সহ বিরাট তিনটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলিনের পথে। আর এই ভাবে চলতে থাকলে আগামি কয়েক দিনে এই বাজারটি মেঘনার তল দেশে চলে যাবে। আমি মনে করি সরকারি ভাবে এখনি ভাঙন রোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং ইউনিয়ন বাসির পক্ষে আমি জোরালো দাবি করছি মেঘনার ছোবল থেকে নীলকমল ইউনিয়ন টি রক্ষা করুন।