সংবাদদাতা ॥
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কার্ড চাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত হয়েছে ২ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নে গাজির গাছখোলা গ্রামে নুরুল ইসলাম বেপারীর ছেলে মো. মোহন বেপারী (৪২) ও মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমের উপর হামলা চালায় একই গ্রামের শহীদউল্ল্যা প্রধানের ছেলে আব্দুল বাতেন মোল্ল্যা (৫৫), আব্দুল বাতেন মোল্ল্যার ছেলে সিয়াম মোল্ল্যা (২৩)। এ ঘটনায় আহত মো. মোহন বেপারীর স্ত্রী লাকী বেগম বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মহসিন মেম্বার মো. মোহন বেপারীর একটি টিসিবির (ন্যায্য মূল্যের) কার্ড আব্দুল বাতেন মোল্ল্যার কাছে রেখে গেছে। শনিবার সকাল ৯ ঘটিকার সময় মোহন বেপারী টিসিবির কার্ডটি বাতেন মোল্ল্যার কাছ থেকে চইতে গেলে তিনি কার্ডটি না দিয়া অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে। বিষয়টি মোহন বেপারী এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানালে বিবাদী বাতেন মোল্ল্যা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে লাঠিসোটা, লোহার ছেনা, দাঁড়ালো দা দিয়ে মোহন বেপারীর বাড়ীতে গিয়ে এলোপাথারী মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন মোহন বেপারী ও জাহাঙ্গীর আলম।
মোহন বেপারীর স্ত্রী লাকী বেগম জানান, আমার স্বামী বাতেন মোল্ল্যার কাছ থেকে টিসিবির কার্ড চাইতে গেলে তাকে গালমন্দ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে আমার স্বামী বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি কে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয় আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায় এতে করে আমার স্বামী এবং দেবর জাহাঙ্গীর আলম মারাত্মকভাবে জখম হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। সেখানে অবস্থার আশঙ্কা দেখে আমার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সাদুল্ল্যাপুর ইউপি সদস্য মো. মহসিন মেম্বার জানান, আমি টিসিবির কার্ডটি মো. মোহন বেপারীকে দেওয়ার জন্য বাতেন মোল্ল্যার কাছে দিয়ে ঢাকা চলে এসেছি। এখন তারা কি জন্য মারামারি করছে আমি কিছু জানিনা।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।