মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগ ও ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সকল শহিদ স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম আয়োজিত মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগ ও ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন খান।
মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম প্রধানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর নবী খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান সানি এবং ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান খাঁনের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. রাজিব মিয়া।
আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোলাইমান রাজু, মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার আলম পান্না, মতলব পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ তামিম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাশরুর খান তামিম, সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিটু, মাহমুদুল হাসান, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ অপু, পৌর ছাত্রলীগ নেতা রিফাত বাবু প্রমুখ।
এসময় উপজেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন বলেন, যে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশ নামে একটি দেশ উপহার দিল তাকে বাঁচতে দিল না ঘাতকরা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘৃণ্য ঘটনা হয়তো দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল কিন্তু তারপরেও নানান চড়াই-উৎরাই দেরি হলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করতে চাওয়াতে ২০০৮ সালে যারা হেসেছিল। তারা সেই হাসার উত্তর পেয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজ, দেরিতে হলেও বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকত, যদি প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বাস্তবায়ন করতে পারত, তাহলে ৮০ দশকেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হত।