নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোমবার (১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ৭ মার্চ ১৭ মার্চ, ২৫ মার্চ ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা না থাকলেও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে ১৭ এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। স্বল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সীমিত পরিসরে এ দিবসগুলো পালন করা যেতে পারে। বাচ্চারা নরম মাটির মত। বাচ্চাদের আসল সময় ভালো কিছু শিখার। এসময় তাদেরকে যা শিখানো হবে সেটাই তারা শিখে নিবে। এবছরটি আমাদের সবার জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ২৫ মার্চ ছাড়া বাকী দিবসগুলো আমরা জাক জমকভাবে পালন করবো ৷ প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলোকসজ্জা করা হবে। ১৭ মার্চ জাতির পিতাকে সম্মান জানানোর জন্যে জেলা ও উপজেলাসহ প্রথম ৯টি জন্মানো শিশুকে প্রতিকী উপহার প্রদান করা হবে। আমরা চাই যথাযোগ্য মর্যাদায় সকলে মিলে এ প্রোগ্রাম গুলো উদযাপন করবো। মনে রাখতে এপ্রোগ্রাম গুলো কারো একার নয়।
জেলা প্রশাসক ৭,১৭,২৫ ও ২৬ মার্চের প্রোগ্রামসূচির নির্দেশনা দিয়ে আরো বলেন, জাতীয় পতাকাগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং জাতীয় পতাকার যেন কোনরূপ অবমাননা না হয়। পুষ্পস্তবকের সময় ২১শে ফেব্রুয়ারির মত মাস্ক পরিহিত অবস্থায় প্রতিটি সংগঠনগুলো থেকে ৫জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ২জন থাকতে পারবেন। ২৫ মার্চ রাতে ৯টায় ১ মিনিট বিদুৎ বন্ধ রাখা হবে। সেই ১মিনিটে যেন কোনরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এবারের ২৬ মার্চ আমাদের ৫০বছর সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ দিবসটিও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো শিশুদের এনে প্রশিক্ষণ করিয়ে কুচকাওয়াজ করানো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কাজী আব্দুর রহিম, সিভিল সার্জেন ডা.মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ,স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা.সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী,চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ,প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী,বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন,জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় ভৌমিক,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ছড়াকার পিযুষ কান্তি বড়ুয়া,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার,সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি শহিদ পাটওয়ারী,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক একেএম দিদারুল আলম প্রমূখ।