আক্তার হোসেন :
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় নির্মিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বীর নিবাস। নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আগামী ৪ ডিসেম্বর মতলবমুক্ত দিবস পালিত হবে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শত্রুদের হাত থেকে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা মতলবকে মুক্ত করেছেন তাদের বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর বেলা ১১ টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতলব মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ,অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) আবুল কালাম আজাদ। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন প্রধান, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন প্রধান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেওয়ান রেজাউল করিম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মুবিন সুজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি বেগম রুনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির উল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক বিন জামান, পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহাগ সরকার প্রমুখ।
মতলব মুক্ত দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে প্রধান অতিথি নির্যাতিত, দুস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল থেকে উপজেলার তিন ব্যক্তির নামে মঞ্জুরীকৃত অনুদানের চেক বিতরণ করেন। পরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দশটি পরিবারের অনুকূলে মানবিক সহায়তা বাবদ ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ মঞ্জুরীর চেক বিতরণ করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এ সময় উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইউপি চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও উপকার ভোগী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।