হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ীক কেন্দ্র। যাকে চাঁদপুরের রাজধানী বলা হয়। বাজারটি সড়ক, নৌ-পথ ও রেলপথের বেষ্টিত এবং জেলার মধ্যবর্তী স্থান হওয়ায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাজারটির মধ্য দিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক। যা বাজারের প্রধান সড়ক।
মহাসড়কের একপাশ দিয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক জন চলাচলে ফুটপাত নির্মাণ করা হলেও তা বর্তমানে রয়েছে হকারদের দখলে। এছাড়াও আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই সারিতে পসরা বসিয়ে এবং ভ্যান গাড়িতে ভ্রাম্যমান অবস্থায় দোকান সাজিয়ে ব্যবসা করছেন হকাররা। তারপর সিএনজি ও অটোরিক্সাদের অঘোষিত স্ট্যান্ড।
এর উপর রয়েছে বাজার জুড়ে রয়েছে চাঁদপুর-কুমিল্লাগামী বোগদাদ ও আইদি পরিবহনের যাত্রী ওঠানামার কারণে নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে পড়েছে যানজট। এ যানজট পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অসহনীয় পর্যায়ে পৌছেছে। এতে নাকাল হাজীগঞ্জবাসীসহ বাজারে আসা ক্রেতা ও পথচারী এবং যাত্রী সাধারণ।
যানজট নিয়ন্ত্রণে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ১৫জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে। রয়েছে ট্রাফিক ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই যানজট নিরসন হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হলেও কিছু সময় স্বস্তির কারণ হয়। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন চলে গেলেই আবারো সেই চিরচেনা রূপ ধারণ করে।
এদিকে নিত্য এ যানজটে এবং ক্রেতা ও পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল করতে না পারায় অহরহ চুরি হচ্ছে। বিশেষ করে নারী চোরদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন ব্যাংকে আসা প্রবাসীর স্ত্রী ও মা বোনেরা। এছাড়াও বাজারে কেনাকাটা করতে আসা নারীদের ভ্যানেটি ব্যাগ ও পুরুষদের পাঞ্জাবির পকেট কাটছে চোরচক্র।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান বলেন, হকারদের উচ্ছেদ করতে চাই না। তাদের পূর্নবাসন করার জন্য খাস ভূমি বালুর মাঠে যাওয়ার জন্য বার বার বলা হচ্ছে। কিন্তু, তারা সেখানে না গিয়ে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা করছে। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
