নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
জেলা প্রশাসক বলেন, যানজট নিরসনের জন্যে বাবুরহাট মোড়ে সিএনজি বা বাস, কোন প্রকার যানবাহন থামানো যাবে না। সড়কের যানজট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, যেসব বিষয আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। খালগুলো ক্রমান্বয়ে ভরাট হচ্ছে। দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সবাই সচেতন হয়ে যাবে। সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই সচেষ্ট হবেন।
মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পুরাতন মামলাগুলো নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। মাদক কারবারিরা যদি নতুন পন্থা বের করে আমাদেরও নতুন নতুন পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে কিন্তু পিছিয়ে যাওয়া যাবে না। মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে।
রমজান মাসকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক বলেন, পণ্য মজুদ করে কেউ যেন কৃত্রিম সঙ্কট যেন না করতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণ মানুষেরা যেন কোন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিক্ষার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, অনেক পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে অনার্স মাস্টার্স করছে কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা কোন ধারণা নিচ্ছে না। তাদেরকে একটু কাউন্সিলিং করা দরকার। শুধু শিক্ষা নয় দক্ষতাও প্রয়োজন আছে। তাই কারিগরি শিক্ষার উপরও জোর দেয়া দরকার।
জেলা প্র্রশাসক পরিশেষে আরো বলেন, যানজট, মাদক, কিশোর গ্যাং, বাজার মনিটরিং সহ যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকলে আমাদের জেলার আইন-শৃৃঙ্খলার পরিস্থিতি আরো ভালো হবে।
পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) বলেন, মাদকের সমস্যাটা পুরানো সমস্যা। এদের ধরণ বদলনোর সাথে সাথে আমাদের পরিকল্পনাও পরিবর্তন করতে হয়। মাদককের ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়। ইভটিজিং এর ব্যাপারে কোন তথ্য পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নিবো।
কিশোর গ্যাং নিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, যাদেরকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি দেশ পরিচালনার তারা যদি খারাপ পথে যায় সেটা আসলে দুর্ভাগ্যজনক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এ এস এম মোসা এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, এনএসআই এর উপ-পরিচালক শাহ আরমান আহমেদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
এসময় জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।