নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চাঁদপুর -৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমানকেই ৪র্থ বারের মতো মনোনয়ন দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে বিএনপির নেতা লায়ন মো: হারুনুর রশিদকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে শফিকুর রহমান ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০০৮ সালেও তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। তবে দু’বারই বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। সবশেষে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয় লাভ করেন।
শফিকুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামের মিয়াজী বাড়ি। তার বাবার নাম মৌলভী আবদুল হামিদ । মায়ের নাম আয়েশা খাতুন। তিনি তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন প্রথম মাদ্রাসা থেকে। তিনি প্রথমে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৬৫ সালে কামিল হাদিস বিষয়ে (ডিগ্রী) লাভ করেন। তারপর ১৯৬৭ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ ডিগ্রী লাভ করেন ।
তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীনে ভূমিকা রাখেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্য ও জাপানে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর শিক্ষা নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় তিনি ইত্তেফাক-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন।রাজননীতি করার আগ পর্যন্ত ইত্তেফাকের বিভিন্ন গুরুত্বপূন পর্দে থেকে জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতায় সুনাম অর্জন করেন। এক পর্যায়ে তিনি পরপর দুইবার (২০১৫-২০১৮) জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
১৯৭৪ সালে তিনি ইংল্যান্ডের থমসন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ (সার্টিফিকেট কোর্স) অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে জাপানের টোকিওতে ফেলোশিপ, জার্নালিস্টিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে জার্মানির বার্লিনের জার্নালিস্টিক ইনিস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এছাড়াও তিনি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।