নিজস্ব প্রতিবেদক:
“শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্প” এর আওতায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সহযোগিতায় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, রাত পৌন দুইটার সময় আমার বাসার সামনে কমিউওনিটি সেন্টারে মিলনায়তনে বিয়ের অনুষ্ঠানে বিকট শব্দেগান বাজানো হচ্ছিল। আমার বাসার জানালার কাচগুলো কাপছিল। পরে বিরক্ত হয়ে রাত পৌনে দুইটায় আমি পাঠাই। আজকাল ধর্মীয় অনুষ্ঠান পূজা মন্ডপ ও ওয়াজ মাহফিলে উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো হয়। আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে উদাহরন স্বরুপ কথাটা বললাম। চাঁদপুর শহরের অটো ও সিএনজির জন্য রাস্তায় চলাচল দুস্কর। ওয়ারলেছ মোড়ে যাত্রী ওঠানোর জন্য অটো ও সিএনজি গুলো মোড় দখল করে রাখে। এসময় গাড়িগুলো অনবরত হর্ন বাজাতে থাকে। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমেই আমাদের সচেতন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে আইন রয়েছে, তা প্রয়োগ করলে রাস্তায় একটি গাড়িও চলাচল করতে পারবে না। তখন কার ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হবে চালকদের, কারন আপনারা এ গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। নিয়ম মেনে গাড়ি চালবো ও হাইড্রোলিক হর্ন লাগাবো না।
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আপনারা এখান থেকে যা শিখেছেন বা শুনেছেন তা যদি অন্যদেরকে গিয়ে বুঝান তাহলে এ প্রশিক্ষণের স্বার্থকতা থাকবে। আমাদের বাচ্চার ফোনে ইউাটিউব যখন দেখে তকন উচ্চ শব্দে শোনে এতে করে শিশুর মনোবিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শব্দ দূষন নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা আমাদের পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। রাস্তায় যারয যানবাহন চালাচ্ছে তারা হর্ন বাজানোর প্রবনতা আমাদের পরিহার করতে হবে। আগে যাওয়ার অসুস্থতা তাও আমাদের পরিহার করতে হবে, তাতে করে শব্দ দূষণ রোধ করা সম্ভব। অনেক গাড়িতেই অনুমোদিত হর্ন ব্যবহার করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম মোসার সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপনপূর্বক বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা. মোঃ জাহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর শর্মিতা আহমেদ লিয়া।