নিজস্ব প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মোঃ মানিক হোসেন নামে (১৬) এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।মানিক উপজেলার উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের খেড়িহর গ্রামের আঃ কাদেরের ছেলে।সে তার নানার বাড়ী কাদরা গ্রামে থাকে।
জানা যায়, উপজেলার উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের কাদরা গ্রামের মিয়া বাড়ির প্রবাসী সাহাদাত হোসেনের ছোট মেয়ে কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী তানহা আক্তার নাদিয়ার (৮) মৃতদেহ ৬ নভেম্বর রাতে বাড়ির পাশের ডোবা পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে। পাশ্ববর্তী পল্লী চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নাদিয়ার মা তাছলিমা আক্তার জানান, তার ছোট মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দুপুরে বাড়ির সামনে অবস্থিত ব্রাক স্কুলে পড়তে যায়। বিকেলে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে আমার মেয়ে খেলতে যায়। খেলা শেষে সন্ধ্যা হয়ে গেলে নাদিয়া বাসায় না আসলে আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি এক পর্যায়ে রাতে বাড়ির বাগানের পাশের ডোবা থেকে নাদিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মানিক তার পড়নের সেলোয়ার খুলে ধর্ষন করে। মেয়েটি চিৎকার করলে মানিক দুই হাত ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে । বিষয়টি মেয়েটি বাড়ীতে গিয়ে তার মায়ের নিকট বলে দিবে মানিক মেয়েটির গলা ও নাকে মুখে চেপে ধরে শ^াস রোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে। মৃত দেহ গুম করার উদ্দেশ্যে কবরস্থানের পিছনে ঝোপের মধ্যে কাঁদাপানিতে লাশ ফেলে দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল মান্নান জানান, নাদিয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের পর অভিযুক্তকে আটক করতে অভিযান চালানো হয়। সোমবার গভীর রাতে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মানিক হোসেনকে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে মানিক হোসেনকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহ আটক করে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদের সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার মানিক হোসেনকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শাহরাস্তি মডেল থানায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানিক জানায়, নাদিয়া চিৎকার দিলে তার মুখ চেপে ধরে সে। নাদিয়া মারা যাওয়ায় সে পাশের ডোবায় তাকে পেলে দেয়।