শাহরাস্তিতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ ধারণ

শাহরাস্তিতে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই বাড়ছে পানি সাথে সাথে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ইতিমধ্যেই উপজেলার অনেক রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া পরিবারের সংখ্যা।দিন যতই যাচ্ছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদ নদী ও খাল বিলের পানি। অনেকেই জানান প্রতিদিন আধা ফুট করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ২৪ আগষ্ট রাত থেকেই বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি ব্যাপক ভাবে অবনতি ঘটছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায় সকল স্বেচ্ছাসেবক টিমকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার পরামর্শ দেন যাতে করে নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেলে যোগাযোগের কোন সমস্যা না হয়ে থাকে।

 

রবিবার থেকে শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান সড়ক গুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে গিয়েছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ মাছের খামার তলিয়ে গিয়েছে। সাধারণ জনগণ আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ঠাই নিলেও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেকেই।

শাহরাস্তি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির মূল কারণ হিসেবে ফেনী ও কুমিল্লা অঞ্চলের পানির চাপকেই প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বর্তমানে শাহরাস্তি উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। ইতিমধ্যেই সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে অনেকেই দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিন রাত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দূর্গতদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে শিবির সহ বেশকিছু সামাজিক সংগঠন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চনগর, চিতোষী, সূচিপাড়া, শ্যামপুর, ভোলদিঘী, ভাটনিখোলা, মনিপুর, সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত আশ্রয় নেয়া পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য আরো সহযোগিতা কামনা করছে ভুক্তভুগি মহল

Loading

শেয়ার করুন: