শিক্ষকতা করে সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হওয়া যায়:  ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকত

নিজস্ব প্রতিনিধি :

গত বুধবার এ দুপুর ১২ টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নানুপুর চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের উদ্যোগে শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সভা এবং নতুন বছর উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত রাজিব কুমার দাস, চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাইমারি অফিসার ববরঞ্জন দাস ও চাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মানসুর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় দৈনিক অনুপমা , দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মিম আক্তার এর পরিচালনায় ও বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষিকা , অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রী বৃন্দ।

বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র হাসিব আক্তারের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে না হয় বিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে। এবং স্মৃতিস্বরূপ কিছু উপহার তুলে দেওয়া হয় অতিথিদের মাঝে।

 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁদপুর সদর উপজেলা র সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেট সাখোয়ার জামিল সৈকত বলেন, এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দেখেছি মানুষের কল্যাণে অর্থাৎ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশংসনীয় বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ। এই উদ্যোগ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে আমি বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি কারণ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই মেরুদন্ড যদি সঠিক মত ঝালাই করা না হয় তাহলে ভেঙ্গে পড়ে যাবে তাই শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের ভূমিকা অতি জরুরী। তাই অভিভাবকদের বলবো আপনারা আপনাদের ছেলে সন্তানদের সবচেয়ে বেশি পড়ালেখা ভালো করার পিছনে ভূমিকা রাখতে পারেন বাচ্চাদের সামনে কখনো স্বামী স্ত্রী অথবা দাদা-দাদী অথবা নানা-নানী ঝগড়াঝাঁটি এমনকি খারাপ ধরনের কথা বলবেন না তাহলে ছেলে সন্তান সুশিক্ষিত হতে বেশি দিন সময় লাগে না। বাচ্চারা বাবা মা এবং তার আশেপাশের লোকজন কিভাবে চলাফেরা করে কি ধরনের কথা বলে সেদিকে তারা খেয়াল রাখে। তাই কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিভাবক বিন্দু ভালো পথে ভালো কাজে চলার আহবান করছি। তাহলে এই এলাকার পড়ালেখার পরিবেশ অন্যরকম উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।

 

 

Loading

শেয়ার করুন: