নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা বিভাগীয় আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নিয়েছে চাঁদপুর জেলা বিএনপি। ১০ নভেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কুমিল্লা বিভাগ আয়োজিত এই কর্মসূচি কুমিল্লা কান্দিরপাড়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের অগণিত নেতা-কর্মী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এইদিনে সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে সমাদৃত জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে বরং ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার নানা চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী শাসনামলে দিবসটি স্বাচ্ছন্দ্যে জাতি উদযাপন করতে পারেনি। ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এদিন কেন্দ্র ঘোষিত কুমিল্লা বিভাগীয় বর্ণাঢ্য র্যালি কর্মসূচি সফল করতে রোববার দুপুর ১২টায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীবৃন্দ কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানে পৌঁছে নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে কুমিল্লার রাজপথে ব্যানার নিয়ে মিছিল করে আলোচনা সভাস্থলে উপস্থিত হয় এবং বিভাগীয় বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। এ সময় চাঁদপুরের নেতা- কর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে কুমিল্লার রাজপথ। চাঁদপুরের অন্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, খলিলুর রহমান গাজী, ফেরদৌস আলম বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিমুছ সালাম, অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ, শাহজালাল মিশন, দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, প্রচার সম্পাদক শরিফ উদ্দিন আহমেদ পলাশ, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ সেন্টু পাটওয়ারী, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির হুমা, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন খান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল, সাধারণ সম্পাদক হাবিব ভূঁইয়া, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জাকির মৃধা, তাঁতী দলের আহ্বায়ক সাবেক পৌর কমিশনার আলী আহমদ সরকার, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মাসুদ মাঝি, শামসুল ইসলাম সূর্য, কাইয়ুম খান, আরেফিন খান, শফিউদ্দিন বাবলু, ছাত্রদলের জিয়াউর রহমান সোহাগ রনি, মামুন, মুন্নাসহ বিএনপি ও অঙ্গ- সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।