নির্বাচনের সময়। আমি প্রার্থী হিসেবে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারব না। তবে আমি গণসংযোগে গিয়ে কথা বলে জানতে পেরেছি আপনাদের সংসদ সদস্যের ( এমপি) কোনো বদনাম নেই। তাহলে নিশ্চয়ই আমাকে আপনারা আমাকে আবার সুযোগ করে দেবেন সেই আশা আমি করতেই পারি।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. (অব.) এম এ ওয়াদুদকে মেলার পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চাঁদপুরের ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর যেমন ব্র্যান্ডিং তেমনি এই মেলা চাঁদপুরের অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। শুধমাত্র চাঁদপুরেই নয়, জেলার আশপাশের এলাকা থেকে অনকে মানুষ বিজয় মেলায় অংশ নিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে পেরেছি আপনাদের কারণে। অনেকেই বলে প্রতিশ্রুতির বেশি কাজ করে ফেলেছি। নির্বাচনী এলাকার লোকদের মধ্যে আমি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নদী ভাঙন প্রতিরোধে নতুন কাজ ইত্যাদি নিয়ে উচ্ছাস দেখি। যা করেছি আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনারা সুযোগ করে দিয়েছেন তার জন্যে কৃতজ্ঞতা। আপনারা হলেন আমার প্রাণ শক্তি। এ সময় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট চান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ভাইস চেয়ারম্যান মৃনাল কান্তি সাহার সভাপতিত্বে অনুভূতি ব্যক্ত করেন সংবর্ধিত অতিথি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার ও মেলার স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. (অব.) এম এ ওয়াদুদ।
মেলার মহাসচিব হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলার স্টিয়ারিং সদস্য শহিদ পাটোয়ারী।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য জাফর ইকবাল মুন্না জেলা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।