
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি একে এম আব্দুল হাকিম বলেছেন, ‘হলুদ সাংবাদিকতার বিষয়টি অনেক বড় নয়। চাঞ্চল্য সৃষ্টির জন্য অতিরঞ্জিত ও মিথ্যাই হচ্ছে হলুদ সাংবাদিকতা। তবে গত বেশ কয়েক বছর এই হলুদ সাংবাদিকতার প্রচলন বেড়েছে। তবে সম্প্রতি এই চর্চা কমে এসেছে। কারণ, এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়া থাকার কারণে কোনো কিছু ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচার হচ্ছে। সবকিছু খুব সহজে আমাদের সামনে চলে আসছে।’
রোববার বেলা ১১টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আয়োজনে গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলের বইতে বিধান আছে। কোন সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না, সে বিষয়গুলো উল্লেখ আছে। এগুলো আপনারা পড়ে দেখবেন। বিচার বিভাগের লোক হিসেবে আমরা চাঞ্চল্য, অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা শব্দগুলো উপলব্ধি করি। হলুদ সাংবাদিকতায় এই শব্দগুলো ব্যবহার হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সাংবাদিকেরা কেউ ইচ্ছে করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে না। কারণ, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা সাংবাদিকদের কাজ নয়।’
এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেন, ‘সাংবাদিকেরা হচ্ছে জনগণের মুখপত্র। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের চাহিদা খুবই কম। কিন্তু আমরা যারা নানা পেশায় এবং দায়িত্বে আছি তাদের মধ্যে সমস্যা হয়। সাধারণ মানুষ অনেক কিছুই জানেন না। কিন্তু সাংবাদিকেরা সমাজের সর্বক্ষেত্রে বিচরণ থাকায় অনেক খবর রাখেন। তবে ইদানীং মিডিয়া শব্দটি বেশি ব্যবহার হচ্ছে। মিডিয়া বলতে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও বোঝানো হয়। এই মাধ্যমটির লাগাম টেনে ধরা প্রয়োজন। এই বিষয়ে আইনও হয়েছে। যা খুবই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই আইনের মুখোমুখি সাংবাদিকেরাও হয়েছেন। প্রেস কাউন্সিল নিয়ে এখনো আইন হয়নি। এটি তৈরি করে পর্যালোচনা হয়েছে। এই আইনটি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষমাণ আছে।’
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুর রকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুপ্রভাত চাকমাসহ সরকারি কর্মকর্তারা। কর্মশালায় চাঁদপুরের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।